মাওবাদী দমনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের রাজনাথ বলেন, ‘মাওবাদী উপদ্রুত ৩৫টি জেলার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের কোনও জেলা নেই। তবে রাজ্যের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন রয়েছে’।
মাওবাদী দমনে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বড় অস্ত্র উন্নয়ন। পরিকাঠামোর উন্নতি ঘটিয়েই মাওবাদী সমস্যার মোকাবিলা করেছে বাংলা। গত ৩ বছরে বাংলায় কোনও মাওবাদী হামলার ঘটনা ঘটেনি। উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে সামিল হতে চেয়ে তথাকথিত অনেক মাও নেতাই বন্দুক ছেড়ে ফিরে এসেছেন সমাজের মূল স্রোতে। উপদ্রুত রাজ্যের তালিকা থেকে বাংলার নাম বাদ দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখেও শোনা গেল মাওবাদী দমনে বাংলার কাজের প্রশংসা।
আজ, সোমবার মাওবাদী সমস্যা, আন্তঃরাজ্য সীমা নিরাপত্তা, সীমান্ত সুরক্ষার মতো একাধিক ইস্যুতে নবান্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই মাওবাদী সমস্যার পাশাপাশি বিহার ও ঝাড়খণ্ড থেকে বহিরাগত দুষ্কৃতীরা সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে বাংলায় গন্ডগোল পাকাচ্ছে, এই অভিযোগ নিয়েও আলোচনা হয়। এ রাজ্যে মাওবাদী সমস্যা কার্যত নেই। কিন্তু পার্শ্ববর্তী রাজ্য ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড এখনও সেই সমস্যায় ভুগছে। এই নিয়ে আলোচনার সময়েই মাওবাদী দমনে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর নেওয়া যাবতীয় পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন রাজনাথ। পাশাপাশি, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ডেও মাও দমনে ‘বাংলা মডেল’ নেওয়া যায় কিনা সেই নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে।