বরাবরই রাজ্যের পিছিয়ে পড়া মেয়েদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার স্বপ্নের ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পের দৌলতে, বাংলা আজ আবারও জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন দখল করেছে। সারা বিশ্বেই তা এখন উচ্চ প্রশংসিত। এবার এই ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পের ওপর গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রি পেতে চলেছেন বনগাঁ দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক পার্থসারথি দে। গত ৪ বছর ধরে তিনি গবেষণা চালিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগণা ও মালদা জেলায়। তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল, কন্যাশ্রী প্রকল্পের অবদান, কন্যা সন্তান ও মহিলাদের কর্মসংস্থান।
বনগাঁ কলেজের অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ ঘোষ জানান, ‘কন্যাশ্রী’র মতো একটি বিষয়, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর সরাসরি সংযোগ রয়েছে, সেই বিষয়ের ওপর কাজ করায় কলেজের পক্ষ থেকে অধ্যাপক দে-কে সংবর্ধনা জানানো হবে। এমন একটি বিষয়ের উপর কাজ করতে মেনে খুশি অধ্যাপক পার্থসারথি দে জানালেন, কন্যাশ্রী প্রকল্প চালুর সময় একটি বিশেষ শ্রেণিকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। এখন সকলের জন্য এই প্রকল্প চালু হয়েছে। সেক্ষেত্রে এই প্রকল্পের নতুন কী প্রভাব পরে, সেই বিষয়ে চর্চা করার জন্য পোস্ট ডক্টরেট করতে চান তিনি। গোবরডাঙার বাসিন্দা পার্থসারথি দে ২০০৮ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে বনগাঁ কলেজে যুক্ত হন। তার আগে তিনি হাবড়া শ্রীচৈতন্য কলেজে অতিথি অধ্যাপক এবং পরে হাবড়ার প্রফুল্লনগর বিদ্যামন্দিরে একই বিষয়ের ওপর শিক্ষকতা করেছেন। বনগাঁ কলেজে কর্মরত অবস্থায় যখন তিনি গবেষণা করার কথা ভাবেন, তখন এই রাজ্যে কন্যাশ্রী প্রকল্প সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে। পার্থসারথি বাবুর এই পিএইচডি, নিঃসন্দেহে কন্যাশ্রীর মুকুটে আরও একটি পালক যোগ করল।