রাজ্য বিজেপি-র হাঁড়ির খবর রাজ্যের শাসক দলের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে কে বা কারা? লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে আপাতত এই প্রশ্নই তাড়া করে বেরাচ্ছে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ জুটিকে। তাই দিল্লীতে ডেকে পাঠানো হল রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে। সেখানে ২৮ সেপ্টেম্বর দিলীপ-মুকুলদের সঙ্গে কথা বলবেন আমিত শাহ। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন দলের সর্বভারতীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রামলালও।
রান্নার গ্যাস ও মহিলাঘটিত কেলেঙ্কারিতে যেভাবে সঙ্ঘ ও বিজেপির সর্বোচ্চ নেতৃত্বের নাম জড়িয়েছে তাতে বেজায় অসন্তুষ্ট মোদী-শাহ। দলের মধ্যে চলা কলহের প্রতিফলন পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। সেই খবরও পৌঁছেছে অমিতের কানে। আর এতেই বেজায় ক্ষুব্ধ তিনি। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব নিশ্চিত এর পিছনে রয়েছে কোনও ‘মীরজাফর’ই। এবার সেই ‘মীরজাফর’ খোঁজার লক্ষ্যে তদন্তে নামছেন স্বয়ং অমিত শাহ। জানা যাচ্ছে, তাঁর বাহিনীর কয়েকজন ইতিমধ্যে রাজ্যে এসে পৌঁছেছেন। ইতিমধ্যে বেশ কিছু টেলিফোনিক কথাবার্তা এবং কাগজপত্রও জোগাড় করে ফেলেছেন তাঁরা।
‘বিশ্বাসঘাতকতা’র কারণ যাই হোক, অমিত শাহ মনে করেন, এই দুই ঘটনা বিজেপি-র কাছে বড় ধাক্কা। যেভাবে আরএসএস এবং বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের নাম কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছে, তাতে তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। এর উপর লোকসভা নির্বাচন যখন দোর গোড়ায়, তখন এই ধরনের ঘটনা রাজ্য বিজেপির জন্য বিশেষ অস্বস্তিকর। বিশেষত, এ রাজ্য থেকে ২২টি লোকসভা আসনের টার্গেট নিয়েছে সর্বভারতীয় নেতৃত্ব। তাই এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সে জন্য মরিয়া গেরুয়া শিবির।
আগামি ২৮ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে রাজ্যের কোর কমিটির সঙ্গে বৈঠক করবেন অমিত শাহ। সেখানেই উপস্থিত থাকবেন বিজেপি-র বঙ্গ ব্রিগেড। অমিত শাহ এবং নরেন্দ্র মোদীর কেউই এই দুই ঘটনাকে যে ভালো চোখে দেখছেন না, তা রাজ্য নেতৃত্বকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে সেদিনই। পাশাপাশি, শাসক দলের সঙ্গে যাঁরা যোগাযোগ রাখছেন তাঁদেরকেও সতর্ক করা হবে। এর পাশাপাশি, বর্তমান পরিস্থিতিতে লোকসভা নির্বাচনের কৌশলও বাতলে দেওয়া হবে ওই বৈঠকে।