যত মত তত পথে মিলে গেল বাংলা। শিশুরা মহরমের মিছিলে হাঁটল রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ সেজে। বড়রাও মহরমের মিছিল বের করলেন অস্ত্র ছাড়াই। মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অন্য রূপ দেখলেন বাংলার মানুষ।
মহরমের মিছিল ঘিরে সকাল থেকেই ছিল সাজো সাজো রব। বেশ কয়েকটি রাস্তায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা হয়। যে কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত ছিল পুলিশও।
সকাল থেকেই তাজিয়া, দুলদুল নিয়ে শোকযাত্রায় স্মরণ করা হয় হাসান-হোসেনকে। কলকাতার মেটিয়াবুরুজ, গার্ডেনরিচ, খিদিরপুর, বেহালা, আনোয়ার শাহ রোড, রাজাবাজার, পার্ক সার্কাস-সহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তাজিয়া বেরোয়। বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট থেকে আমহার্স্ট স্ট্রিট, মহাত্মা গান্ধী রোড, বেলেঘাটা মেন রোড হয়ে তাজিয়া আসে কারবালা প্রান্তরে। হাওড়া-হুগলীর বিভিন্ন অঞ্চলেও বের হয় তাজিয়া। কলকাতা-সহ জেলার মানুষ তাজিয়া দেখতে ভিড় করেন পথের দুধারে। এদিন অনেকেই রোজা রেখেছিলেন। অনেকে দুঃস্থ, ক্ষুধার্তদের শরবৎ, খিচড়া বিতরণ করেন।
মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি অস্ত্র ছাড়া মহরমের মিছিল বের করার জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন বঙ্গীয় ইমাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রইসউদ্দিন পুরকায়েতও।তাঁর বক্তব্য, ধর্মের নামে শিশুদের হাতে যেন অস্ত্র ধরানো না হয়। যাতে তাদের মানসিক ক্ষতি না হয়, তা দেখাটাও সমাজের কর্তব্য। একই আর্জি জানিয়েছিলেন সারা ভারত সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, বেঙ্গল ইমামস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মহম্মদ ইয়াহিয়াও।