ইসলামপুরের দারিভিট হাইস্কুলে সঙ্ঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ কোনও গুলি চালায়নি। আগেই বিবৃতি দিয়ে একথা জানিয়েছিলেন উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার সুমিত কুমার। বলেছিলেন, ‘আমরা জেনেছি সেখানে বহিরাগতরা ঢুকে পড়েছিল। অস্ত্রশস্ত্রও জমা করা হয়েছিল। এমনকি একজন পুলিসকর্মীও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সেই বহিরাগতরা কারা, তা জানতে তদন্ত হচ্ছে’। কিন্তু তারপরেও পুলিশের বিরুদ্ধে দোষারোপ থামেনি। তাই এবার এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করল রাজ্য পুলিশ।
ফেসবুকে রাজ্য পুলিশের তরফে করা ওই পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘ইসলামপুরে দারিভিট হাইস্কুলের ঘটনায় বহিরাগতদের আক্রমণেই ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এলাকার নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ পুলিশের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। বহিরাগত বিশৃঙ্খল জনতা মারণাস্ত্র নিয়ে পুলিসের ওপর হামলা চালায়। এক পুলিশকর্মী গুলিবিদ্ধ ও কয়েকজন আহত হয়েছেন। যাদের প্ররোচনায় জনতা অশান্ত হয়ে উঠল তাদের খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে’।
প্রসঙ্গত, দারিভিট স্কুলের গন্ডগোলে ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল চাকরিতে যোগ দিতে আসা উর্দু শিক্ষক এবং পুলিশকে। কিন্তু গোটা স্কুলে চেয়ার–টেবিল ভাঙচুর করে স্কুলের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র লন্ডভন্ড করা হয়েছে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে একজন শিক্ষকের বাইকও। ঘটনায় আন্দোলনকারী ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই কাণ্ড শুধুমাত্র ছাত্রদের নয়। এর পেছনে বহিরাগত লোকজন আছে বলেই মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।