লিকার ব্যারন বিজয় মালিয়াকে দেশ ছাড়তে সাহায্য করেছেন সিবিআই-এর যুগ্ম ডিরেক্টর অরুণকুমার শর্মা। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। শুধু তাই নয়, একে শর্মা নীরব মোদী এবং মেহুল চোকসিকেও বিদেশে পালাতে সাহয্য করেছেন বলে তাঁর অভিযোগ। রাহুলের দাবি, সিবিআই-এর এই অফিসার প্রধানমন্ত্রী মোদীর অত্যন্ত আস্থাভাজন।
নির্দিষ্টভাবে অফিসার একে শর্মার নাম করে একটি টুইট করেন রাহুল গান্ধী। তাতে লিখেছেন, ‘সিবিআইয়ের লুক আউট নোটিস দুর্বল করে দিয়েছেন ওই অফিসার।’ তারপর যোগ করেছেন, ‘নরেন্দ্র মোদির প্রিয়পাত্র এ কে শর্মা! গুজরাট ক্যাডারের আইপিএস। মেহুল চোকসি ও নীরব মোদিকেও পালাতে সহায়তা করেছেন।’
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে সিবিআই-এর তৎকালীন পরিচালক অনিল সিনহা না জানিয়েই মালিয়ার লুক আউট নোটিশকে ডিটেনশন নোটিশ অর্থাৎ আটক করার নির্দেশ থেকে ইনফর্ম অর্থাৎ তৎক্ষণাৎ জানানোর নোটিশে বদলে দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করেছিলেন শর্মা। কিন্তু জয়েন্ট ডিরেক্টর হিসাবে তাঁর এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার ছিল না। কারণ, একজন জয়েন্ট ডিরেক্টর শুধু ৬০ কোটি টাকা পর্যন্ত অভিযোগের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী। মালিয়ার ক্ষেত্রে অঙ্কটা ৯ হাজার কোটি টাকা। সেই সময়কার সিবিআই ডিরেক্টর অনিল সিনহা গোটা বিষয়টি জানতে পারেন যখন মালিয়া অত্যধিক বেশি লাগেজ নিয়ে বিমানবন্দরে পৌঁছে গেছেন। সিনহা সে সময় বিভিন্ন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন। সেই বৈঠকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশও ছিলেন। কিন্তু তখন আর কিছুই করার ছিল না।
গুজরাটের ক্রাইম ব্রাঞ্চের প্রাক্তন যুগ্ম কমিশনার এ কে শর্মা মোদি ও অমিত শাহের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। ১৯৮৭ সালের আইপিএস তিনি। বিজেপি–শাসিত গুজরাটে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অধীনে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। সেই সময় ইসরাত জাহান মামলা ও এক মহিলার ওপর বেআইনি নজরদারির ঘটনায় তাঁর নাম জড়িয়েছিল।