রান্নার গ্যাসের ডিলারশিপ পাইয়ে দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতির অভিযোগে বিজেপি নেতা রঞ্জিত মজুমদারকে গ্রেপ্তার করল জোড়াসাঁকো থানার পুলিশ। এই প্রতারণার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি-না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অবশ্য পুলিশের এই গ্রেপ্তারির পেছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি দেখছে বিজেপি।
জানা গেছে, এই দুর্নীতিকাণ্ডের শুরু ২০১৭ সালের মার্চ মাসে। তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থার তরফে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করে গ্যাসের ডিলারশিপের জন্য বিভিন্ন জেলায় ভাগ করে ২৩৫টি অনুরোধপত্র চাওয়া হয়। সেই সময় রাজ্য বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন রঞ্জিত মজুমদার। কিন্তু তিনি ওই তালিকায় নিজের পছন্দের লোকজনের নাম যুক্ত করেছিলেন। তাদের বেশিরভাগই বিজেপির সদস্য। এরপরই গোটা বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ উঠলে বরাত বাতিল করে দেয় ওই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা। অভিযোগ, তারপরেও একাধিক জায়গা থেকে বরাত পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা তুলে তা আত্মসাৎ করেছেন রঞ্জিত।
এরপরেই রঞ্জিত মজুমদারের নামে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পূর্ব বিধাননগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন প্রাক্তন বিজেপি নেতা অশোক সরকার। অভিযোগ পাওয়ার পর জেরার জন্য ডাকা হয় রঞ্জিতকে। পরে গ্রেপ্তার করে জোড়াসাঁকো থানার পুলিস। অভিযুক্ত রঞ্জিতের বিরুদ্ধে প্রতারণা, অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা রুজু করা হয়েছে।
মনে করা হচ্ছে, জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত রঞ্জিতের সঙ্গে জড়িত আরও বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতার নাম উঠে আসতে পারে। এমনকী বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নাম সামনে আসতে পারে বলে সূত্র মারফত খবর।