তৃণমূলের ডিজিটাল টিম যেন দেশের এক নম্বর হয়। এমনটাই চান তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভিড়ে ঠাসা নজরুল মঞ্চে অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস আয়োজিত ‘ডিজিটাল কনক্লেভ’-এ এক অডিও বার্তায় মমতা বলেন, ‘ডিজিটাল টিম এমন করতে হবে যাতে লোকে বলে, তোমাদের টিমটা ধার দাও।‘
নেত্রীর নির্দেশ, বিজেপির বিরুদ্ধে যেমন থাকবে ব্যারিকেড, ঠিক তেমনই থাকবে অবাধ তথ্য প্রবাহও। ২০১৯ লোকসভার আগে তৃণমূলের ফর্মুলা, একদিকে রাস্তা দখল, তো অন্যদিকে লাইক, কমেন্ট আর শেয়ারের বন্যা। এ ক্ষেত্রে এক ইঞ্চি জমিও বিজেপিকে ছেড়ে দেওয়া যাবে না, নির্দেশ এমনই। উপস্থিত তৃণমূলের সাইবার সেলের কর্মী, বিভিন্ন কলেজের পড়ুয়া, সমর্থকদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, ‘এটা টাকার বিনিময়ে তৈরি নয়। এটা আদর্শ। তোমাদের ওপর নির্ভর করছে পার্টির ভবিষ্যৎ। নেটওয়ার্ক বাড়ানোর জন্য ছাত্ররা বাড়িতে মা–বাবাকে উৎসাহ দেবে’। মমতার কথায়, ‘খবর পেলে পুলিশকে দিন। জেলায় জেলায় আরএসএস–এর লোক আসছে প্রচারের নাম করে। ঝাড়খণ্ড থেকে, অসম থেকে, ওডিশা থেকে টাকা আসছে। দীপ্তাংশুদের (কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরি) জানাবেন। ওঁরা আমাকে জানাবেন। খবর সঠিক হলে পুরস্কৃত করা হবে’।
যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবরের রমরমা বাড়ছে এবং তা বিশ্বাস করে হিংসার ঘটনা ঘটছে, তাতে চিন্তিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই একদিকে প্রশাসনে থেকে ‘সুশাসন’, অন্যদিকে সারা ভারতে বিজেপি-কে হারিয়ে ‘নব্যভারত’ প্রতিষ্ঠা, দুই ক্ষেত্রেই মুখ্যমন্ত্রীর হাতিয়ার ডিজিটাল মিডিয়া। আগামী নির্বাচনে ফেসবুক, টুইটারকে ব্যবহার করেই ১০ শতাংশের উপর ভোট আদায় করতে চাইছে তৃণমূল। যেকোনও তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়ার আগে তার সত্যতা যাচাই করে নিতে বলেছেন তিনি। আগামী দিনে প্রতি তিন মাস অন্তর এই ধরনের সভার আয়োজন করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সভায় যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিজেপির যে কমিউনিটি পেজ আছে সেখানে ঢুকে যুক্তির লড়াই চালাতে হবে। প্রতিটি বিধানসভায় আমাদের ১০০ জন করে সাইবার সৈনিক চাই। আমাদের টুইটারটাকে আরও সক্রিয় করতে হবে। আগামী দিনে নেতাজি ইন্ডোরে এইরকম একটা কনক্লেভ করে সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আসতে অনুরোধ করব’।