পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর যে এলাকাগুলি মূল সংঘাতের কারণ, সেখানে এখনও ঘাঁটি গেড়ে বসে রয়েছে তাদের সেনা৷ অথচ চীন দাবি করছে, পূর্ব লাদাখের অধিকাংশ জায়গা থেকেই সেনা প্রত্যাহার বা পিছিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে৷ চীনের এই দাবি খারিজ করে দিয়ে ভারত জানিয়ে দিল, পূর্ব লাদাখের অনেক জায়গাতেই এখনও সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া বাকি রয়েছে৷
ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছেন, ‘কিছুটা অগ্রগতি হলেও সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি৷ আমরা আশাবাদী, চীন আমাদের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই তাদের বাহিনীকে পিছিয়ে নেবে এবং উত্তেজনা প্রশমনে সহযোগিতা করবে৷
বৃহস্পতিবার ভারতে চীনের রাষ্ট্রদূত সুন ওয়েডং দাবি করেছিলেন, প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর অধিকাংশ জায়গাতেই দু’দেশের বাহিনী পিছিয়ে গিয়েছে৷ তাঁর আরও দাবি ছিল, চীন কখনওই ভারতের বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াবে না৷ চীনা রাষ্ট্রদূত দাবি করেছিলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠা করতেই আগ্রহী চীন৷
দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যাতে আগের অবস্থায় ফিরে আসে, তার জন্য ভারত-চীন দু’পক্ষকেই উদ্যোগী হতে হবে বলে দাবি করেছিলেন চীনা রাষ্ট্রদূত৷ যদিও সেনা প্রত্যাহার নিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূতের দাবি খারিজ করে দিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক৷
কয়েকদিনের মধ্যেই লাদাখ ইস্যুতে ভারত এবং চীনা সেনার মধ্যে কমান্ডার স্তরে পঞ্চম বৈঠক হওয়ার কথা৷ অভিযোগ, প্যাংগং তাসো হ্রদ এবং গোগরায় ১৭এ প্যাট্রলিং পয়েন্ট থেকে এখনও পিছু হতে নারাজ চীনা সেনা৷ লাদাখের মোট চারটি জায়গা নিয়ে এখনও ভারত এবং চীনা সেনার মধ্যে সংঘাত দূর হয়নি৷ এই এলাকাগুলিতে দু’পক্ষের অন্তত ৫০ জন করে সেনা ১ কিলোমিটারের তফাতে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে৷
প্যাংগং তাসো হ্রদ এবং ১৭এ প্যাট্রলিং পয়েন্ট ছাড়াও গালওয়ানের প্যাট্রলিং পয়েন্ট ১৪ এবং হট স্প্রিং এলাকার ১৫ নম্বর প্যাট্রলিং পয়েন্টে একই ভাবে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে দু’দেশের সেনাবাহিনী৷
প্যাংগং তাসো হ্রদের উত্তরে ফিঙ্গার এইটের আট কিলোমিটার পশ্চিম দিকে ফিঙ্গার ফোর-এ এখনও চীনা সেনা ঘাঁটি গেড়ে বসে রয়েছে৷ ফিঙ্গার এইটকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বলে মানে ভারত৷ একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দু’পক্ষের সেনা পিছু হঠতে শুরু করার পর প্রথম ফিঙ্গার ফোর ছেড়ে তারা ফিঙ্গার ফাইভের দিকে চলে গিয়েছিল৷ কিন্তু আবার ফিঙ্গার ফোর-এ ফিরেছে চীনা ফৌজ৷