চোপড়ায় সদ্য মাধ্যমিক পাশ ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার অভিযোগে এখনও উত্তপ্ত রয়েছে উত্তর দিনাজপুর সহ গোটা উত্তরবঙ্গ। এরই মধ্যে বিস্ফোরক হুমকি দিলেন রাজ্যের সংখ্যালঘু মোর্চার সম্পাদক কাশেম আলী। আগামী বিধানসভা ভোটে জিতে রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলেই ধর্ষকদের এনকাউন্টার করে মারার হুমকি দিয়েছেন তিনি।
কাশেমের বক্তব্য, “রাজ্যে যেদিন আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসবে, সেদিন থেকেই ধর্ষকদের এনকাউন্টার করে মারা হবে। বিরোধীদের ধরে ধরে এনকাউন্টার করব।” সংখ্যালঘু মোর্চার সম্পাদকের এহেন বয়ানে রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। শাসকদলের পাল্টা দাবি করা হচ্ছে, গেরুয়া শিবির আইন-আদালতে বিশ্বাস করে না। যদিও কাশেম স্পষ্ট জানান, বিচারপ্রক্রিয়ার উপর তাঁর সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তবে ধর্ষকদের বাঁচিয়ে রেখে দিনের পর দিন সরকারি টাকা পিছনে খরচ করার কোনও মানে হয় না। এনকাউন্টার করাই একমাত্র প্রাপ্য সাজা।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে মুকুল রায়ের হাত ধরেই বিজেপিতে যান কাশেম আলী। একদা তৃণমূল কংগ্রেসের পরিচিত নাম কাশেম সিঙ্গুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনশন মঞ্চে নেত্রীর ছায়াসঙ্গীও ছিলেন। তবে শিবির বদলের পর মুকুলের ঘনিষ্ঠ বৃত্তে থাকার সৌজন্যে ভারতীয় জনতা পার্টিতেও তাঁর উত্থান ঘটে দ্রুত গতিতে। ২০১৮ সালে তাঁকে রাজ্যের সংখ্যালঘু মোর্চার সম্পাদক করে বঙ্গ বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। এরপর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁর আক্রমণ আরও ধারালো হয়েছে।