দেখতে দেখতে সময় হয়েই এল। বাকি আর মাত্র ৪ মাস। আগামী ৩ নভেম্বর নয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ভোট হবে মার্কিন মুলুকে। তার আগে তাদের নিজেদের ব্যর্থতা থেকে মানুষের চোখ সরাতেই আমেরিকার হিউজটনে চীনা দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানাল রাষ্ট্র পরিচালিত চীনা গণমাধ্যম। গতকাল অর্থাৎ বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্টের পক্ষ থেকে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হিউজটনে চীনের দূতাবাস বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। অমেরিকার ‘মেধা স্বত্ব’ ও দেশের ‘অভ্যন্তরীণ একান্ত তথ্য’ সুরক্ষিত রাখতেই এই নির্দেশ বলে জানানো হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
সম্প্রতি মার্কিন স্বরাষ্ট্র সচিব মাইক পম্পেও আমেরিকার মাটিতে চিনের ষড়যন্ত্র চালানোর অভিযোগে বেজিং–এর বিরুদ্ধে সারা বিশ্ব জুড়ে নতুন করে জোট বাঁধার কথা বলেছিলেন। এরপর এবার দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশের ফলে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে ইতিমধ্যেই যথেষ্ট তিক্ত হওয়া সম্পর্ক আরও তলানিতে পৌঁছল। হিউজটনে চীনা দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়ার মার্কিন নির্দেশের প্রতিক্রিয়ায় চীনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক ভাবে প্ররোচনামূলক। দ্রুত এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের বার্তা দিয়ে মুখপাত্র হুয়া চানইং টুইট করে জানিয়েছেন, আমেরিকার এই পদক্ষেপের প্রত্যুত্তর চীন দৃঢ়তার সঙ্গে দেবে।
চীনের ইংরাজি ভাষার রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদপত্র ‘চায়না ডেইলি’র সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ‘আমেরিকার এই নতুন অভিসন্ধিমূলক পদক্ষেপের উদ্দেশ্য চিনকে সারা পৃথিবীর কাছে ক্ষতিকর রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করা যাতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে চিনকে ‘দস্যু’ হিসেবে প্রমাণ করা যায়।’ ওই সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়েছে, ‘আসন্ন নির্বাচনে স্পষ্টতই প্রতিপক্ষের থেকে অনেকটা পিছিয়ে থাকায় আমেরিকার নেতা চিনকে শয়তানের অনুচর প্রমাণ করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।’ আবার চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ইংরাজি ভাষার ট্যাবলয়েড ‘গ্লোবাল টাইমস’ তাদের একটি প্রতিবেদনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে রাজনীতি নিয়ে খেলার অভিযোগে অভিযুক্ত করে লিখেছে, নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ওয়াশিংটনকে পাগল করে দিয়েছে।