স্বামী করোনা আক্রান্ত। তা সত্ত্বেও আবাসনের ছাদে পোশাক শুকোতে দিয়েছেন তাঁর স্ত্রী। এই ছিল ‘অপরাধ’। সে কারণে করোনা রোগীকে জুতোপেটা করার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। বাধা দিতে গেলে তাঁর পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। এই ঘটনার পর থেকে ছোট্ট সন্তানকে নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটছে কেন্দুয়ার ওই দম্পতির।
করোনা আক্রান্তের স্ত্রীর দাবি, দিনকয়েক আগেই তিনি জানতে পারেন স্বামী কোভিড আক্রান্ত। তবে মৃদু উপসর্গ হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি। আপাতত বাড়িতেই রয়েছেন ওই ব্যক্তি। মঙ্গলবার তাঁর স্ত্রী গিয়েছিলেন আবাসনের ছাদে। সেখানে তাঁর এবং ছোট্ট সন্তানের পোশাক শুকোতে দেন। অভিযোগ, সেই সময় আচমকাই প্রতিবেশীরা তাঁকে গালিগালাজ করতে থাকে। মুহূর্তের মধ্যেই স্বামীকে ছোট্ট সন্তানের সামনেই জুতোপেটা করতে শুরু করে বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে যান ওই করোনা আক্রান্তের পাঁচমাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। তিনি অত্যাচারে বাধা দেন। অভিযোগ, তাতে বাধা দিলে ওই অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকেও মারধর করা হয়।
যদিও প্রতিবেশীরা ওই মহিলার তোলা জুতোপেটা এবং মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। করোনা আক্রান্ত জানার পরেও ছাদ ব্যবহারের তাঁরা শুধুমাত্র আপত্তি করেছিলেন বলেই পালটা দাবি তাঁদের। এদিকে, আক্রান্ত ওই মহিলা পাটুলি থানায় অভিযোগ জানাতেও যান। তার ফলে স্যানিটাইজ করা হয়েছে থানাও। উল্লেখ্য, সরশুনা থানা এলাকার বসন্ত পার্কেও ঠিক একই ঘটনা ঘটে। করোনা যোদ্ধা এক চিকিৎসককে বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। ওই স্বাস্থ্য অফিসারের দাদাকে রাস্তার উপরেই প্রচণ্ড মারধর করে এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা। মাথা ও ঘাড়ে চোট লাগে তাঁর। অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁচ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। যদিও চিকিৎসকদের মতে, অতিরিক্ত আতঙ্ক থেকেই সাধারণ মানুষ এমন কাণ্ড ঘটাচ্ছেন।