সমকামীদের সুপ্রিম কোর্ট মান্যতা দিলেও সমাজের একাংশ এখনও অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে রয়েছেন। তাঁদেরই মধ্যে একজন হলেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। বৃহস্পতিবারই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, সমকামীদের যৌন সম্পর্ক কোনও অপরাধ নয়। কিন্তু শীর্ষ আদালতের সেই রায়কে কর্ণপাত না করে সুব্রহ্মণ্যম স্বামী জানিয়ে দিলেন, ‘সমকামী যৌনতাকে আইনি বৈধতা দেওয়া হলে যৌনসংসর্গের ফলে রোগীর সংখ্যা বাড়বে, বাড়বে এইডস রোগের প্রকোপও।’ সমকামীদের দেশের অন্যান্য মানুষের সঙ্গে সমান অধিকার পাওয়ার ঘটনাকে কোনওভাবেই মানতে নারাজ স্বামী।
স্বামীর দাবি, সমকামী মানুষেরা জিনগত ভাবেই বিকৃত। তাঁদের বৈধতা দিলে দেশ জুড়ে বাড়বে সমস্যা, বাড়বে গে বার। পুরো বিষয়টিকে ‘সামাজিক শয়তান’ বলেই দেখছেন স্বামী। এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন, ‘এই রায়কে ফের চ্যালেঞ্জ করা যাবে। পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের রায়কে বদলে দিতে পারেন সাত বিচারপতির বেঞ্চ।’
ঘটনা হল, সংবিধানের চরিত্র বদল নিয়ে মুখ্য বিচারপতি জীপক মিশ্র এদিন মুখ খুলেছেন। সংবিধানের ধারাকে ব্যাখ্যা করার পদ্ধতি বদলাচ্ছে। তা অবশ্যই যুগের ও সময়ের বদলে যাওয়া ধারার সঙ্গে মিলিয়ে যুক্তিযুক্ত হওয়া উচিত। এমনটাই বলেছেন তিনি। আদালত সর্বোপরি জানিয়েছে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে বৈচিত্রতা রক্ষা করতে হবে। সমাজের জনপ্রিয় ভাবনাকে সংখ্যালঘুদের উপরে চাপিয়ে দিলে চলবে না। কারণ সমাজের একজন ব্যক্তিরও মৌলিক অধিকার খর্ব হওয়া উচিত নয়। এই বলে এদিন আদালত সমকামকে মান্যতা দিয়েছে। কিন্তু এসব বিষয়কে থোড়াই কেয়ার করছেন স্বামী। তাঁর দাবি, ‘এই রায়ের কারণে সমকামী সম্প্রদায় আরও সাহসী হয়ে উঠবেন। যা সমাজের জন্য মোটেও ঠিক নয়।’