আশঙ্কাই সত্যি হল। এযাবতকালে টাকার দাম পৌঁছল সর্বনিম্নে। ডলার প্রতি ৭২ টাকা। এনিয়ে পরপর সাতদিন ধরে টাকার দামে পতন হল। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে এই বছরে টাকার অবমূল্যায়ন ঘটেছে ১০ শতাংশ। মাসদু’য়েক আগে দেশের অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস ছিল, মার্কিন ডলারের সঙ্গে টক্করে এই পর্যায়ে ভারতীয় মুদ্রার দাম পৌঁছবে ৭২ টাকায়। এদিন সেই ভবিষ্যৎবাণী মিলে গেল।
২০১৬-র মে মাসের পর থেকে এটাই সব থেকে বেশি দিন ধরে পতন বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১২.৪০ নাগাদ ডলার পিছু টাকার দাম ছিল ৭২.০৭ টাকা। বুধবারের থেকে এদিন টাকার দামে ০.৪০ শতাংশ পতন হয়েছে। বুধবার বাজার বন্ধ হওয়ার সময় টাকার দাম ছিল ৭১.৭৬ টাকা। বৃহস্পতিবার বাজার খোলার সময় টাকার দাম ছিল ৭১.৬৫ টাকা। পরে তা ৭১.০৮ টাকায় পৌঁছে যায়।
অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি জানিয়েছেন, সরকার গভীর ভাবে টাকার দামের পর্যালোচনা করছে। এপ্রসঙ্গে তুরস্কের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন তিনি। তবে বিশ্বের যে কোনও জায়গায় যে কোনও পরিস্থিতি হোক না কেন, ভারত তার মোকাবিলায় তৈরি বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তবে এই আশ্বাসবাক্যে চিঁড়ে ভিজছে না।
অগস্ট মাসের ১৬ তারিখ থেকে রেকর্ড পরিমাণ পতনের সূচনা হয়। মার্কিন ডলারের তুলনায় ৭০ টাকা ৮২ পয়সা হয় টাকার মূল্য৷ সেই শুরু। এর পরে প্রত্যেকদিনই টাকার মূল্য নিম্নমুখী ছিল৷ অর্থনীতিবিদদের একাংশের বক্তব্য, যে হারে টাকার মূল্য পতন চলছে তাতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।