বিতর্ক থেকে সরে যাওয়া তো দূর, বিতর্ককে আরো বাড়িয়ে দিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলি। কিছুদিন আগেই অযোধ্যা এবং ভগবান রামকে নেপালি বলে দাবি করেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, আসল অযোধ্যা নেপালে অবস্থিত! সে নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয় ভারতে। একের পর এক আক্রমণ করা হয় নেপালের প্রধানমন্ত্রীকে। কিন্তু নিজের বক্তব্যে যে তিনি অনড় রয়েছেন তা প্রমাণ করে দিলেন ওলি। কারণ এবার আসল অযোধ্যা খুঁজতে নেপালে শুরু হচ্ছে খননকাজ।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী দাবি অনুযায়ী, যেখানে খননকাজ হতে চলেছে সেখানে আসল অযোধ্যা অবস্থিত। এককথায় ভগবান রাম এবং অযোধ্যার সঙ্গে নেপালের সংযোগ যে রয়েছেই তা প্রমাণ করতে একেবারে মরিয়া ওলি। একই সঙ্গে তার অভিযোগ, সাংস্কৃতিক ঔদ্ধত্য দেখিয়ে নেপালের হাত থেকে রাম এবং অযোধ্যাকে ছিনিয়ে নিয়েছে ভারত। তিনি দাবি করেন, সীতার জন্ম স্থান নেপালের জনকপুরে, আগে যার নাম ছিল মিথিলা, ভগবান রামের জন্মভূমিও বীরগঞ্জের থোরিতে। সেটাই আসল অযোধ্যা।
নেপালের প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য সামনে আসতেই অযোধ্যার সব সাধু এমনকি মুসলিম নেতারাও নেপালের প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছেন। তাঁকে পাগল বলেও সম্বোধন করেছেন। এমনকি এক মুসলিম নেতা আক্রমণাত্মক সুরে বলেছেন, ভগবান রামের সঙ্গেই থাকেন হনুমানজি। তিনি রেগে গেলে তাঁর গদার এক আঘাতে ধ্বংস হয়ে যাবে নেপাল। নেপালের প্রধানমন্ত্রীর উচিত নিজের বক্তব্য থেকে সরে আসা এবং তার জন্য ক্ষমা চাওয়া। তিনি যে বক্তব্য বলেছেন তা নিন্দনীয় এবং দুর্ভাগ্যজনক।
খবর মিলেছে, নেপালের দক্ষিনে থোড়িতে খননকাজ শুরু করতে চলেছে পুরাতত্ত্ব বিভাগ। একইসঙ্গে চালানো হবে গবেষণা। সেখানেই আসল অযোধ্যা খুঁজে বার করার প্রস্তুতি তুঙ্গে। নেপালের পুরাতত্ত্ব বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের পরে তাদের দায়িত্ব বেড়েছে। এবার রামের সঙ্গে যে নেপালের সংযোগ রয়েছে তা খুঁজে বের করার দায়িত্ব তাদের। সেই কারণেই এই ঘন কাজ দ্রুত শুরু করা হবে। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, খুব শীঘ্রই একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে যেখানে উপস্থিত থাকবেন ইতিহাসবিদ, ধার্মিক নেতা শিক্ষক এবং গবেষকরা। তাদের থেকে পরামর্শ নিয়েই নির্দিষ্ট স্থানে খনন কাজ শুরু করবে পুরাতত্ত্ব বিভাগ।