সপ্তাহ দুয়েক আগেই বিশাখাপত্তনমে সাইনর লাইফ সায়েন্সেস নামের একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির গ্যাস লিক হওয়ায় একাধিক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। তার আগে বিশাখাপত্তনমেই ঘটে গিয়েছিল এলজি পলিমার রাসায়নিক কারখানায় বিষাক্ত গ্যাস লিকের মতো দুর্ঘটনা। এবার বিধ্বংসী আগুন ছড়িয়ে পড়ল বিশাখাপত্তনমের ফার্মা সিটিতে। সোমবার মাঝরাতে বিকট বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পারাভাড়া এলাকা। আজ, মঙ্গলবার সকালে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও ফার্মাসিউটিক্যাল ইউনিটের বেশিরভাগ অংশই পুড়ে গেছে বলে দমকল সূত্রে খবর। ঘটনায় জখম হয়েছেন একজন।
প্রসঙ্গত, বিশাখাপত্তনমের দক্ষিণ শহরতলির বেঙ্কটপুরের গোপালপত্তনম এলাকার গ্যাস দুর্ঘটনার আতঙ্ক এখনও কাটেনি। প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শতাধিক মানুষ। তারপরেই ফার্মাসিউটিক্যাল ইউনিটে এ হেন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, মাঝরাতে আচমকাই বিস্ফোরণের শব্দে এলাকা কেঁপে ওঠে। তারপরেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা ফার্মাসিউটিক্যাল ইউনিটে। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে গোটা ইউনিটটাই। আগুন ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দেয় আশপাশের বাড়িগুলিতেও।
বিশাখাপত্তনমের জেলাশাসক ভি বিনয় চাঁদ বলেছেন, ইউনিটের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। আগুন বড় আকারে ছড়িয়ে পড়েছিল। কয়েকজন কর্মী সেই সময় ছিলেন ইউনিটের ভেতরে। একজনের জখম হওয়ার খবর মিলেছে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা সুরক্ষিত আছেন। জেলাশাসকের কথায়, আগুন লাগার খবর পেয়ে গতকাল রাতেই ছুটে গিয়েছিল দমকলের ৯টি ইঞ্জিন। আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে প্রচণ্ড ধোঁয়ার কারণে ইউনিটের ভেতরে ঢোকা সম্ভব হচ্ছে না। নাইট শিফটের জন্য অনেক কর্মীই সোমবার রাতে ফার্মাসি ইউনিটে ছিলেন। তাঁদের কেউ আটকে পড়েছেন কিনা সেটা দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আগুন লাগার কারণ এখনও অজানা। ফার্মাসিউটিক্যাল ইউনিটে কোস্টাল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের প্রজেক্ট চলছিল বলে জানা গেছে। প্রচুর বর্জ্য পদার্থ, প্লাস্টিক জাতীয় বস্তু জমা ছিল বলেই ধারণা। দমকল সূত্রে খবর, দাহ্য পদার্থ বেশি পরিমাণে থাকায় আগুন বিধ্বংসী চেহারা নেয়। গোটা ইউনিটে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তবে ফার্মাসি ইউনিট লাগোয়া বাড়িগুলির কোনও ক্ষতি হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।