কোভিড পরিস্থিতিতে রেল যখন নতুন নিয়োগ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে, ঠিক তখনই জোনের জিএমদের অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মীদের পুনর্নিয়োগের সাধিকার দিল রেলবোর্ড। শুক্রবার রেলবোর্ড এই নির্দেশ জোনগুলিতে পাঠিয়ে দিয়েছে। ট্রেন চালক, গার্ড, স্টেশন ম্যানেজার প্রভৃতি সেফটি পদে সংশ্লিষ্ট পদে অবসর নেওয়া কর্মীদের পুনর্নিয়োগ দিতে পারবেন জিএম। এমনকি স্বাস্থ্যদপ্তরে প্রয়োজনীয় পদে অবসরপ্রাপ্তদের পুনর্নিয়োগ দিতে পারবেন জিএম। সংশ্লিষ্ট পদে যেমন পুনর্নিয়োগ দিতে পারবেন তিনি তেমনই অপ্রয়োজনীয় যেসব পদে আগে অবসরপ্রাপ্তদের পুনরায় নিয়োগ করা হয়েছিল, তাঁদের কাজ থেকে সরিয়ে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জিএমদেরই।
শুক্রবার এই নির্দেশের পরই নতুন করে আলোড়ন শুরু হয়েছে বেকার যুবক-যুবতীদের মধ্যে। বিরোধিতা শুরু করেছে রেলের কর্মী সংগঠনগুলি। পূর্ব রেলের মেনস ইউনিয়ন পুনর্নিয়োগের বিরোধিতা শুরু করেছে। সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ বলেন, ‘অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের আবার গুরুত্বপূর্ন সেফটি ক্যাটাগরিতে নিতে বলেছে। তার মানে পদগুলোতে কর্মীদের প্রয়োজন রয়েছে। অথচ নতুন নিয়োগ বন্ধ করেছে ক্ষতির হিসাব দেখিয়ে। এই দ্বিচারিতা সমাজের ভয়ানক ক্ষতি করবে। বেকাররা চাকরি পাবেনা।’ প্রবীণরা শারীরিক দক্ষতা হারিয়ে কাজ করবেন। এতে ফল ভয়ানক হবে বলেও তিনি দাবি করেছেন। বেশ কয়েক বছর আগে রেল এই পুনর্নিয়োগ ব্যবস্থা চালু করে। সম্প্রতি রেলের খতির খতিয়ানে আগে পুনরায় নিযুক্তদের সরানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি নতুন নিয়োগে বন্ধ করে। এরপর সেফটি ক্যাটাগরিতে অবসরপ্রাপ্তদের পুনর্নিয়োগ এর নির্দেশে নতুন করে আলোড়ন শুরু হয়।
রেল আধিকারিকদের মতে, পুনর্নিয়োগে অনেক সুবিধা দেখছে পাওয়া যাচ্ছে। নতুনদের তিন থেকে ছ’মাস প্রশিক্ষণ দিতে হয়। তারপর লাইন ট্রেনিং। তবেই চাকা ধরার অধিকার দেওয়া হয় সহকারী হিসাবে। অবসারপ্রাপ্তদের এক সপ্তাহ লার্নিংয়ের পর চাকা ধরাটা কোনও ব্যাপার নয়। অন্যদিকে অবসরপ্রাপ্তদের শেষ পাওয়া বেতনের অর্ধেক টাকা কাজের জন্য দেওয়া হবে। সেখানে নবনিযুক্ত যুবকদের পুরো বেতন দিতে হবে। যদিও আমিতবাবুর কথায়, অবসরপ্রাপ্তরা পুরো বেতনের অর্ধেক পাবে কাজের জন্য, বাকি অর্ধেক পেনশনের টাকা। যা নতুনদের নিয়োগে হবে না। তাঁদের পুরো বেতন দিতে হবে, পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্তদের পেনশন থাকছেই। ফলে এই অর্থ রেলের কোষাগার থেকে দিতে হবে। যা রেলের চোখে অনেকটা।