সোমবার দিনের শেষ মনে হয়েছিল, এই বুঝি বরফ গলল। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বুঝি পাইলটকে বুঝিয়ে শুনিয়ে দলে ফেরার জন্য রাজি করিয়ে ফেললেন! কিন্তু রাতেই আবার সমস্যা ঘোরতর হল। গেহলটের পালটা শক্তি প্রদর্শন করলেন শচীন পাইলটও। সেই সঙ্গে বুঝিয়ে দিলেন, তিনি আর সহজে ‘ঘরে’ ফেরার পাত্র নন। কংগ্রেস সূত্রের দাবি, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর পর খোদ রাহুল গান্ধী পাইলটের সঙ্গে কথা বলে তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তাতেও নিজের অবস্থানে অনড় রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী। এমনকী, রাহুলের সঙ্গে সশরীরে দেখা করতে পর্যন্ত অস্বীকার করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, সোমবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট কংগ্রেসের বিধায়কদলের একটি বৈঠক ডাকেন। কংগ্রেস সুত্রে দাবি করা হয় ওই বৈঠকে মোট ১০৭ জন বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন। যদিও বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, গেহলটের বৈঠকে খুব বেশি হলে ১০২ জন বিধায়ক হাজিরা দেন। সংবাদমাধ্যমের সামনে শক্তি প্রদর্শনের পর ওই বিধায়কদের জয়পুর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে একটি হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার ফের ওই হোটেলেই বিধায়কদলের বৈঠক ডেকেছে কংগ্রেস। দলের অন্যতম মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা একাধিকবার প্রকাশ্যে সংবাদমাধ্যমে পাইলটকে অনুরোধ করেছেন, মঙ্গলবারের বৈঠকে যোগ দিতে এবং নিজের দাবি-দাওয়া নিয়ে খোলামনে আলোচনা করতে।
কিন্তু শচীন পাইলটের ঘনিষ্ঠরা বলছেন, মঙ্গলবারের বৈঠকেও যোগ দেবেন না তিনি। পাইলটের এক ঘনিষ্ঠ এদিন আরও একবার দাবি করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী গেহলটের কাছে সরকার বাঁচানোর মতো বিধায়কের সমর্থন নেই। বিধানসভায় আস্থাভোট হলেই সেটা প্রমাণিত হয়ে যাবে। এরই মধ্যে গুরুগ্রামের মানেসর হোটেলে থাকা পাইলট অনুগামী বিধায়কদের একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয় তাঁর দপ্তরের তরফে। যাতে অন্তত ১৫ জন বিধায়ককে একসঙ্গে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে। পাইলট অনুগামী একাধিক বিধায়ক সেই ভিডিও টুইটও করেছেন। এরই মধ্যে সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের ইঙ্গিত দিয়েছে কংগ্রেসের জোটসঙ্গী ভারতীয় ট্রাইবাল পার্টি।