আজ শহরজুড়ে লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও কড়া নজরদারি চলল কলকাতা পুলিশের তরফে। শহরের প্রতিটি কন্টেইনমেন্ট জোনগুলিতে বেড়েছে পুলিশের আনাগোনা। ব্যরিকেড দিয়ে এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে। সেখানে যাতে কেউ ঢুকতে বা বেরতে না পারে, তার জন্যে ২৪ ঘণ্টাই পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কারও কিছু প্রয়োজন পড়লে পুলিশকর্মীরাই ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। কড়া বিধি-নিষেধের পাশাপাশি চলছে সচেতনতার প্রচারও। মাস্ক ছাড়া কাউকে রাস্তায় দেখলেই বাড়ি ফেরত পাঠাচ্ছে পুলিশ। কোনও কোনও কন্টেনমেন্ট জোন লাগোয়া এলাকায় দোকান-বাজারও বন্ধ।
এমন পরিস্থিতিতে কলকাতার বিভিন্ন কন্টেইনমেন্ট জোনগুলি আজ পরিদর্শন করলেন শহরের পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। তিনি পুলিশকর্মীদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশও দেন। কলকাতা থেকে হাওড়া সহ জেলাগুলিতে পুলিশের এমন তৎপরতা দেখে অনেকেই বলছেন, এ বার লকডাউনের রাশ আলগা করতে চাইছে না প্রশাসন। তবে অসচেতনতার ছবিও যে ধরা পড়ছে না, তা নয়। কন্টেইনমেন্ট জোনের বাইরে থাকা বহু এলাকায় অনেকেই মাস্ক ছাড়া ঘুরছেন। দূরত্ব বিধি শিকেয়। ফলে ওই সব এলাকা নতুন করে কন্টেইনমেন্ট জোনের আওতায় ঢুকে যেতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।
এ দিন কলকাতার উল্টোডাঙা, মুকুন্দপুর, অজয়নগর, কসবা, প্রগতি পল্লি, গিরিশ পার্ক, বিজয়গড়, দত্ত বাগান, কাঁকুড়গাছি সহ বিভিন্ন এলাকায় কড়া নজরজারি চলেছে। পাশাপাশি, হাওড়ার চিত্রটাও অনেকটাই একই রকম— পুরসভা এলাকার পাশাপাশি শহরতলির বিভিন্ন এলাকাতেই কড়া নজরদারি চলছে। শ্যামপুর, পাঁচলা, উলুবেড়িয়া পুরসভা, আমতা, উদয়নারায়ণপুরের বিভিন্ন এলাকার কন্টেইনমেন্ট জোনগুলি কড়া লকডাউনের আওতায় রয়েছে। একইভাবে উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও পুলিশি নজরদারি চলছে। প্রসঙ্গত, গতকাল, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টা থেকে কন্টেইনমেন্ট জোনে লকডাউন শুরু হয়েছে। শুধু থানার পুলিশ কর্মীরাই নয়, পথে নেমেছিলেন শীর্ষ কর্তারাও। এ দিনও কলকাতায় সকাল থেকে কড়া নজরদারির ছবি ধরা পড়েছে। শহরের ২৫টি কন্টেইনমেন্ট জোনে ঘুরে দেখছেন তাঁরা। থানাগুলির তরফে গাড়ি করে সর্বক্ষণ মাইকিং করা হচ্ছে।