নারী নিরাপত্তায় এমনিতেই দেশের মধ্যে সবচেয়ে নিচে উত্তরপ্রদেশ। এবার ফের যোগীরাজ্য সাক্ষী থাকল ভয়াবহ অনারকিলিংয়ের। তুতো ভাইয়ের সঙ্গে প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বাড়ি থেকে পালিয়েছিল ২১ বছরের তরুণী। ‘পরিবারের সম্মান বাঁচাতে’ তাই ২ জনকেই খুন করল দাদা। এরপর তাঁদের দেহ ঝুলিয়ে দিয়ে এই ঘটনাকে আত্মহত্যার রূপ দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আর এক ভাই এই অপরাধ চাক্ষুস করে ফেলায়, তাঁকেও শেষ করে দেয় অভিযুক্ত।
ঘটনাটি ঘটেছে সম্ভাল জেলার ধানারি থানা এলাকার গাধা গ্রামে। বুধবার পুলিশ অভিযুক্ত বিনীত ও অপরাধে তাঁর সহকারী ৩ বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে। বিনীত তাঁর বোন সুখিয়া ও তাঁদের তুতো ভাই বান্টিকে শ্বাসরোধ করে খুন করে বলে অভিযোগ। মৃতরা হাইস্কুলে ড্রপআউট ছিল। অপরদিকে এই ঘটনা দেখে ফেলায় আর এক ভাই কুলদীপকেও বিনীত খুন করে বলে অভিযোগ। কুলদীপ এম.এসসি ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ২৮ জুন বান্টির বিয়ে ঠিক হয়েছিল। তবে তার ঠিক আগে ২৫ জুন তুতো বোন সুখিয়াকে নিয়ে পালায় সে।
বৃহস্পতিবার সম্ভালের পুলিশসুপার যমুনা প্রসাদ জানিয়েছেন, “১ জুলাই এক তরুণী ও তাঁর তুতো ভাইয়ের দেহ গাছে ঝোলানো অবস্থায় পাওয়া যায়। দেহদুটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে দেখে মনে হয়েছিল এটি আত্মহত্যার ঘটনা। এরপর তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর ৭ জুলাই মৃত তরুণীর ভাইয়ের দেহ একইরকমভাবে গাছে ঝোলানো অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। এরপরই সন্দেহ তীব্র হওয়ায় খোঁজখবর শুরু করে পুলিশ। ধানেরা থানার পুলিশ বিনীত, কিশোরী, শোরাজ ও জগপাল যাদবকে গ্রেফতার করেছে।”
জেরায় পেশায় কৃষক বিনীত পুলিশকে বলেছে যে, সে পরিবারের সম্মান বাঁচাতে তাঁর বোন ও বোনের বয়ফ্রেন্ড তথা তুতো ভাইকে খুন করেছে। ভাই কুলদীপ এই খুনের সাক্ষী হয়ে যাওয়ায় তাঁকেও সে খুন করে বলে স্বীকার করে নিয়েছে বিনীত। সে পুলিশকে জানিয়েছে, তাঁর বন্ধু জগদীপ মাঠে দেখতে পায় সুখিয়া ও বান্টিকে। এরপরই তাঁদের খুনের পরিকল্পনা করা হয়। খুনে সাহায্য করার জন্য সে জগপালকে আড়াই লাখ টাকাও দিয়েছে বলে জানিয়েছে বিনীত।