চৌবেপুরে তার ডেরায় পুলিশি হানার সময় ৮ পুলিশ কর্মী হত্যার ঘটনার পর ৬ দিন ধরে বেপাত্তা ছিল মোস্ট ওয়ান্টেড দুষ্কৃতি বিকাশ দুবে। তাকে গ্রেফতারের জন্য লাগাতার অভিযান চালিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের ২৫টি টিম। টানা ৬ দিন ধরে হন্যে হয়ে তল্লাশি অভিযান চালানোর পর অবশেষে আজ, বৃহস্পতিবার প্রতিবেশী রাজ্য মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বিকাশকে। পুলিশের আগেই অনুমান ছিল যে মধ্যপ্রদেশে পালানোর চেষ্টা করবে বিকাশ দুবে। সেই মতোই আঁটোসাঁটো ছিল নিরাপত্তা। অবশেষে বৃহস্পতিবার সকালে উজ্জয়ীনীর মহাকাল মন্দির থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বিকাশকে।
কিন্তু কীভাবে বিকাশ মধ্যপ্রদেশ পৌঁছলেন, কারা তাকে সাহায্য করেছে— এইসব নিয়ে বিভিন্ন মহলে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এর মধ্যেই মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র জানিয়েছেন, ভুয়ো পরিচয়পত্র নিয়ে মধ্যপ্রদেশে ঢুকেছিল বিকাশ। দুই সঙ্গীকে নিয়ে গাড়িতেই প্রতিবেশী রাজ্যে গিয়েছিল সে। ভুয়ো আইডি কার্ডে বিকাশের পদবী ‘পাল’ ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। কারা বিকাশকে পালাতে এবং ভুয়ো পরিচয়পত্র বানাতে সাহায্য করেছিল সেটাই এখন খুঁজছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার একদম সিনেমার মতো নাটকীয় ভঙ্গিতে গ্রেফতার হয়েছে গ্যাংস্টার বিকাশ। সূত্রের খবর, মন্দিরের নিরাপত্তারক্ষী এবং পুজোর ডালি বিক্রেতা পুলিশকে বিকাশের গতিবিধির ব্যাপারে খবর দিয়েছিল পুলিশকে। এরপরেই উজ্জয়ীনীর মহাকাল মন্দিরে পৌঁছয় এসটিএফের টিম। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে একদম হিন্দি ছবির ভিলেনের স্টাইলেই চিৎকার করে গ্যাংস্টার বলে ওঠে, ‘আমিই বিকাশ দুবে, কানপুরওয়ালা’। যদিও বিকাশের নাটকীয় গ্রেফতারের পর নানা প্রশ্ন উঠেছে। এটা গ্রেফতার নাকি পরিকল্পিত আত্মসমর্পণ তা নিয়ে শুরু হয়েছে দ্বন্দ্ব।
কানপুরের বিকরু গ্রামে গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হানা দিয়েছিল পুলিশবাহিনী। তবে সাতমহলা প্রাসাদের কাছাকাছি ঘেঁষতেই বিকাশের বাড়ির ছাদ থেকে পুলিশের উপর এলোপাথাড়ি গুলিবৃষ্টি শুরু হয়। কারণ পুলিশের তরফে বিকাশ আগেভাগেই খোঁজ পেয়ে গিয়েছিল এই অভিযানে। তাই নিজের লোকলস্কর সমেত তৈরিই ছিল সে। নিহত হয়েছেন আট পুলিশকর্মী। আহত হয়েছেন আরও সাতজন। এই ঘটনার পর থেকে গত ৬ দিন ধরে ফেরার ছিল গ্যাংস্টার বিকাশ দুবে। অবশেষে নিজের বাড়ি থেকে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দূরে গ্রেফতার হল বিকাশ দুবে।