লকডাউনের সময় কাজ করতে গিয়ে মহারাষ্ট্রের একজন কর্মী আটকে পড়েন দিল্লীতে। সেই সময় কোম্পানির কিছু টাকা খরচ হয় তার থাকবার ও খাওয়ার ব্যবস্থার জন্য। সেই প্রসঙ্গে মালিকের সঙ্গে বচসাও বাঁধে কর্মচারীর। সেই বচসার জেরেই কর্মচারীর যৌনাঙ্গে স্যানিটাইজার স্প্রে করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে খোদ মালিকের বিরুদ্ধে!
মহারাষ্ট্রের কোথরুডে একটি ফার্মে ম্যানেজারের কাজ করতেন এক যুবক। বিভিন্ন জায়গায় চিত্র প্রদর্শনীর সব ব্যবস্থা করে থাকে ওই ফার্ম। সেই রকমেরই একটি কাজে দিল্লী গিয়েছিলেন ওই যুবক। কিন্তু লকডাউন ঘোষণার পর সেখানেই আটকে পড়েন তিনি। বাধ্য হয়েই তখন যুবককে একটি লজে থাকতে শুরু করেন। ফলে থাকা ও খাওয়ার খরচ বাবদ কোম্পানির তরফে তাঁকে যে টাকা দেওয়া হয়েছিল তার পুরোটাই খরচ হয়ে যায়। আনলকের প্রথম পর্বে ফিরে এসে সেই কথাই মালিককে জানালে, তিনি বেজায় চটে যান।
তারপর ওই যুবককে অপহরণ করে নিয়ে যান মালিক ও তাঁর সহকারীরা। জানা গিয়েছে, ফার্মের অফিসেই ওই যুবককে আটকে রাখা হয়। মালিক ও আরও দুই কর্মী তাঁকে মারধরও করেন। এরপরও যুবক টাকা ফেরত না দেওয়ায় তাঁর যৌনাঙ্গে স্যানিটাইজার স্প্রে করে দেওয়া বলে অভিযোগ করেন সেই কর্মী।পরে ছাড়া পেয়েই প্রথমে একটি হাসপাতালে ভরতি হন ওই যুবক। তারপরই কিছুটা সুস্থ হয়ে ২ জুলাই কোম্পানির মালিক-সহ দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।