উম্পুনে বিধ্বস্ত হয়েছিল গোটা বাংলা। বাংলাকে আবার নতুন করে প্রাণ ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। ত্রাণ থেকে শুরু করে বাধ, মানুষের খাবার সমস্ত কিছু। তবুও কোথাও কোথাও মানুষ তা নিয়ে দুর্নীতি করেছেন। তাঁদের শুধু বহিষ্কার নয়, আরও বড় শাস্তি দেওয়া হবে। এ বিষয়ে আলোচনাও শুরু হয়েছে। রবিবার বেহালায় দলের সভা করার পর এই মন্তব্য করেছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চ্যাটার্জি।
দুর্নীতির অভিযোগে নন্দীগ্রামের ২০০ জনকে শোকজ করা হয়েছে। এ খবর জানিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল জেলা সভাপতি। তিনি বলেছেন, “ইতিমধ্যে ৫৫ জন ত্রাণের টাকা ফেরত দিয়েছেন। আশা করি, আরও টাকা ফেরত আসবে। জেলায় ঝাড়াই–বাছাই শুরু হয়েছে। যত বড় নেতাই হোন না কেন, পূর্ব মেদিনীপুরে আমরা কাউকে দুর্নীতি করতে দেব না। সকলকে দলের শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। সরকারের ভাবমূর্তি যাঁরা নষ্ট করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হতে হবে”।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি জানিয়েছেন, উম্পুনের ত্রাণের টাকা নিয়ে যাঁরা দুর্নীতি করেছেন, তাঁদের মধ্যে ৮ জনকে শোকজ করা হয়েছে। দুর্নীতি করে দলের কাজ করা যাবে না।
উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলার দুই সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও শুভাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ফেরত দেওয়া টাকা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে এবার তুলে দেওয়া হবে।
শুভাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, তৃণমূলই একমাত্র দল যারা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেছেন, ‘হিঙ্গলগঞ্জে যাঁরা আমফানের টাকা নিয়ে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাঁদের কাছে টাকা ফেরত চাওয়া হয়েছে। ফেরত না দিলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। থানায় এফআইআর হবে। জেলায় জেলায় আমরা বলছি টাকা ফেরত দিন।’