গত ১৫ জুন রাতে গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চীনা সেনার সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহীদ হন। আহত হন আরও ৭৬ জন। সেদিনের সংঘর্ষের পর থেকেই গোটা দেশ চীনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে। দেশজুড়ে চীনা পণ্য বয়কটের ডাক উঠেছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও মোদী সরকার আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যা সমাধানের পক্ষে। তাই বেজিংয়ের সঙ্গে সামরিক এবং কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চালাচ্ছে ভারত। গত ৩০ জুনই সীমান্ত সমস্যা নিয়ে তৃতীয় দফায় বৈঠকে বসে ভারত ও চীনের সেনাবাহিনী। সোমবার চীনের বিদেশ মন্ত্রক থেকে জানানো হল, দু’পক্ষের আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে। ফ্রন্টলাইনে যে সেনা রয়েছে, তারা উত্তেজনা কমানোর জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছে।
এর পাশাপাশি চীন থেকে ভারতকে কটাক্ষ করে বলা হয়েছে, ভুটানের সঙ্গে আমাদের সীমান্ত বিরোধ নিয়ে কোনও ‘তৃতীয় পক্ষ’ যেন নাক না গলায়। আসলে সম্প্রতি ভুটানের পূর্বে সাকতেং অভয়ারণ্য নিজেদের বলে দাবি করেছে চীন। ওই অভয়ারণ্যের আয়তন ৬৫০ বর্গ কিলোমিটার। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে পরিবেশ সংক্রান্ত একটি আন্তর্জাতিক আলোচনাচক্রে ওই অভয়ারণ্য নিয়ে চীন-ভুটান বিরোধ মাথাচাড়া দেয়। গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফেসিলিটি কাউন্সিলের ৫৮ তম বৈঠকে সাকতেং অভয়ারণ্যের জন্য কিছু পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করার দাবি ওঠে। তখনই চীন বলে, ওই অভয়ারণ্য ‘বিতর্কিত অঞ্চল’। তাই চীন ওই অভয়ারণ্যের জন্য অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাবে সায় দিচ্ছে না। এর পরে ভুটান বলে, ওই অভয়ারণ্য তাদের দেশের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তাদের দাবিকে কার্যত সমর্থন করে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু চীন বলে, ভুটানের পশ্চিম, মধ্য ও পূর্বাঞ্চল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক আছে।