নেওয়া হয়নি সঠিক পদক্ষেপ। আমেরিকায় করোনা মোকাবিলায় ভুল পথে হাঁটছে ট্রাম্প প্রশাসন। সেনেট কমিটির বৈঠকে মুখ খুলে এবার এমনটাই জানালেন আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকসিয়াস ডিজিজের প্রধান ও হোয়াইট হাউসের মুখ্য স্বাস্থ্য উপদেষ্টা অ্যান্থনি ফৌজি।
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যার নিরিখে বিশ্বের কোভিড আক্রান্ত দেশগুলির তালিকায় শীর্ষেই রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। জন হপকিনস ইউনিভার্সিটির হিসেব অনুযায়ী আমেরিকায় করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৭ লাখ। মৃত্যু ১ লাখ ৩০ হাজারের কাছাকাছি। ফৌজির বক্তব্য, গত কয়েক সপ্তাহে দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধির হার মাত্রা ধরা পড়ছে। করোনা মোকাবিলায় সঠিক পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। উত্তর ও দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে করোনার প্রকোপ বেশি বলেই জানিয়েছেন অ্যান্থনি ফৌজি।
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) তথ্য অনুযায়ী, দেশের অন্তত ১২টি রাজ্যে করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা গত কয়েকদিনে বেড়েছে। হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডগুলিতে উপচে পড়ছে ভিড়। সংক্রমণ নিয়ে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি হওয়া রোগীদের সংখ্যাও চিন্তা বাড়াচ্ছে। ফ্লোরিডার মায়ামি কাউন্টিতে গত দু’মাসে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে থাকা সঙ্কটাপন্ন কোভিড রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। হাউস্টনের হাসপাতালগুলিতে ভর্তি হওয়া কোভিড রোগীদের ৯৭ শতাংশ আইসিইউতে ভর্তি।
নতুন আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে রেকর্ড করেছে টেক্সাস। সেখানে কোভিড পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি। সংক্রামিতের সংখ্যায় শীর্ষে নিউ ইয়র্ক। সেখানে কোভিড আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা চার লাখ ছুঁতে চলেছে। এর পরেই ক্যালিফোর্নিয়া, ২ লাখ ৩০ হাজারের বেশি। নিউ জার্সি ও ফ্লোরিডাতেও সংক্রমণ বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। সিডিসি জানাচ্ছে, গত এক সপ্তাহে ফ্লোরিডাতে গড়ে ৫.৬ শতাংশ বেড়েছে করোনার সংক্রমণ। লকডাউন শিথিল করার কারণেই সংক্রমণ বেড়ে চলেছে বলে দাবি টেনেসির সেনেটর ও কমিটির চেয়ারম্যান লেমার আলেক্সান্ডারের।
এদিকে করোনা সঙ্কটের মধ্যেই নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সে জন্য জায়গায় জায়গায় জন সমাবেশও করছেন। প্রচারসভায় ভিড় বাড়াতে সামাজিক দূরত্ববিধির কড়াকড়িতে ছাড় দেওয়াও হয়েছে। ট্রাম্পের নির্দেশ মেনেই টেক্সাস, ক্যালিফর্নিয়ার মতো প্রদেশগুলি ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত কাজ চালু করে দিয়েছিল। কিন্তু এ বার তারা পিছু হটছে। টেক্সাসের পানশালাগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলেস-সহ ক্যালিফর্নিয়ার সাতটি শহরেও বার, জিম, রেস্তোরাঁ, সিনেমা হল বন্ধ করা হয়েছে। সরকারের হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস সচিব অ্যালেক্স অ্যাজারের দাবি, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।