এবার থেকে মহারাষ্ট্রে প্রত্যেকটি সরকারি দফতর, স্থানীয় প্রশাসন, আধিকারিক ও সরকারি কর্মীদের সমস্ত কাজ মারাঠি ভাষায় করতে হবে। তা না করলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে মহারাষ্ট্রের জোট সরকার। গত সোমবার এমনই একটি নির্দেশিকা জারি করে এই কথা জানিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকারের মারাঠি ভাষা দফতর। এই নির্দেশিকায় প্রতিটি দফতরের প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কারা এই নির্দেশ মানছে না সেদিকে খেয়াল রাখতে। এই নির্দেশের অন্যথা হলে তাঁকে প্রথমে সতর্ক করা হবে। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া এমনকি তাঁর বেতন বৃদ্ধি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিতে পারবেন দফতরের প্রধানরা। এই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য রিপোর্টের আকারে রাজ্য প্রশাসনকে জানানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
উদ্ধব ঠাকরে সরকারের এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “অনেক দফতর এখনও সরকারের নির্দেশিকা ও অন্যান্য বিষয় ইংরেজিতে করে থাকে। অনেক দফতরের ওয়েবসাইটেও ইংরেজি ভাষার ব্যবহার দেখা যাচ্ছে। আবার অনেক মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন তাদের চিঠি, নোটিস, অ্যাপলিকেশনে ইংরেজি ভাষার ব্যবহার করছে। এই বিষয়ে আগেই অনেক বার সেই সব দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরেও এই সরকারি নির্দেশ মানা হয়নি। তাই এই কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ভারতের একাধিক রাজ্য যেমন তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, কর্নাটক, কেরলের স্কুলে রাজ্যের প্রধান ভাষা পড়া বাধ্যতামূলক। সেই নিয়মই এবার চালু করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। ফেব্রুয়ারি মাসে, বাজেট অধিবেশনে সরকার আইন পাশ করে যে মহারাষ্ট্রের সব স্কুলে মারাঠি ভাষা বাধ্যতামূলক করা হবে। মারাঠি ভাষার মন্ত্রী সুভাষ দেশাই ও শিক্ষামন্ত্রী বর্ষণ গায়কোয়াড় মে মাসে এই সংক্রান্ত একটি বৈঠক করেন। তারপরেই জানানো হয়, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে মহারাষ্ট্রের প্রতিটি মাধ্যম ও বোর্ডের স্কুলে প্রথম শ্রেণি থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত মারাঠি ভাষা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।