এই কিছু দিন আগেও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে ছিলেন তাঁরা। অবশেষে কেউ পায়ে হেঁটে কেউ বা শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে চেপে হাজারও কষ্ট সহ্য করে নিজের বাড়ি ফিরেছেন তাঁরা। লকডাউনের মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের সেই অবর্ণনীয় কষ্ট বিচলিত করে তুলেছিল গোটা দেশকে। কিন্তু ঘরে ফেরার আরাম দীর্ঘস্থায়ী হল না। পেটের দায় বড় দায়। সেই পেটের দায়েই ফের কর্মক্ষেত্রে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন এই সব পরিযায়ী শ্রমিকরা। বিশেষ করে বিহার এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে শয়ে শয়ে শ্রমিক মুম্বই, আমেদাবাদ, অমৃতসর, হাওড়া, দিল্লী এবং সিকন্দরাবাদে ফিরছেন বলে রেলসূত্রে খবর। বিহার এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে শ্রমিক স্পেশাল ফিরতি ট্রেনে বোঝাই হয়ে ফিরছেন এই সব শ্রমিকরা। বিহার এবং উত্তরপ্রেশ থেকে ফিরতি ট্রেনে ২৬ এবং ৩০ জুনের সংরক্ষণ তালিকায় ১০০ শতাংশ ওয়েটিল লিস্ট এর প্রমাণ দিচ্ছে।
মুম্বই, দিল্লী, কলকাতা, অমেদাবাদের মতো শহরে ব্যবসা ও অন্য অর্থনৈতিক কাজকর্ম শুরু হয়ে যাওয়ায় পেটের দায়ে ফের নিজেদের কর্মক্ষেত্রে ফিরছেন শ্রমিকরা। তবে এর ফলে আর্থিক ক্ষেত্র কিছুটা আশা জাগালেও করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। পরিযায়ী শ্রমিকরা নিজেদের রাজ্যে ফেরায় সেই সব রাজ্যে হু-হু করে বেড়ে গিয়েছিল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তেমনই এবার পরিযায়ী শ্রমিকরা ফের কর্মক্ষেত্রে ফেরায় আবার আরও এক প্রস্থ করোনা সংক্রমণের ঢেউ উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রেল মন্ত্রক সূত্রে পাওয়া তথ্য বলছে যে বিহার ও উত্তরপ্রদেশ থেকে ফিরতি ট্রেনের মধ্যে অন্তত ৬৪টি ট্রেন পুরোপুরি ভর্তি। আরও ১১টি ট্রেনের ৯০ শতাংশের বেশি বুকিং হয়ে গিয়েছে।