একের পর এক হামলা। এরই মধ্যে অবশ্য জম্মু-কাশ্মীরে খতম হয়েছেন একাধিক জঙ্গি। কিন্তু তাতেও কাশ্মীরের আকাশ থেকে সরছে না আশঙ্কার পারদ। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জম্মু-কাশ্মীর থেকে হঠাতই ‘নিখোঁজ’ হয়ে গিয়েছে ২০০ যুবক। চমকে ওঠার মতো তথ্য হল, তাঁদের প্রত্যেকের কাছেই রয়েছে পাকিস্তানের ভিসা। নিরাপত্তা এজেন্সিগুলিকে ইতোমধ্যে সতর্ক করেছেন গোয়েন্দারা।
করোনা আবহে যখন গোটা দেশ লড়াই করছে, সেখানে পাকিস্তান বারবার কাশ্মীরে সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই ২০০ তরুণকেও কাজে লাগানো হতে পারে এই কাজেই।
যদিও কাশ্মীরের মুখ্য চারটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের প্রধানদের গত চার মাসে পুলিশি অভিযানে খতম করা হয়েছে। ফলে মনে করা হচ্ছিল, উপত্যকায় হিংসাত্মক কার্যকলাপে রাশ টানা গিয়েছে। কিন্তু তাতেও লাভ খুব একটা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শুক্রবারও অনন্তনাগে সিআরপিএফ জওয়ানদের উপর হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। মৃত্যু হয়েছে বাংলার এক জওয়ানের।
কাশ্মীরের প্রধান চারটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-এ-তৈবা, জৈশ-এ-মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদ্দিন এবং আনসার গজওয়াত-উল হিন্দ বারবার চেষ্টা চালাচ্ছে ভূ স্বর্গের শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট করতে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে সন্ত্রাসবাদ দমনে অভিযানের মাত্রা জোরদার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। আর তাতে সাফল্যও মিলেছে।
সম্প্রতি কাঠুয়ায় পাক স্পাই ড্রোন গুলি করে নামিয়েছিল বিএসএফ। ওই ড্রোন থেকে বিপুল পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ওই ড্রোনের মাধ্যমে পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদীদের কাছে অস্ত্র পৌঁছে দেওয়া হচ্ছিল বলে অনুমান জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের। এরই মধ্যে কাশ্মীরি যুবকদের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা নতুন মাত্র যোগ করেছে।