উম্পুন যে শুধু যে জনজীবনের ক্ষতিসাধন করেছে এমন নয়, ক্ষতি হয়েছে কলকাতা-সহ দুই ২৪ পরগনা ও নদিয়া জেলার বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসও। সেই সব ক্ষতির পরিমাণ কত তারই তালিকা চেয়ে পাঠালো রাজ্য সরকার। যত দ্রুত সম্ভব এই চার জেলার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে তাঁদের ক্ষতির পরিমাণ রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরে জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে অনুমান ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৫ কোটি টাকা।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২ কোটি টাকা। প্রেসিডেন্সির ক্ষেত্রে তা ১ কোটি টাকা। আবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ক্ষতি আড়াই কোটি টাকা।
ধাক্কায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় বেশ ভালই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। একই রকম ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ডায়মন্ডহারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, কল্যাণী কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বারাসত রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ও। এদের প্রায় সকলেরই ক্যাম্পাসে গাছ ভেঙে পড়ে, ভবনের দরজা-জানলা ভেঙে, দেওয়াল বা পাঁচিল ভেঙে পড়ে, মূর্তি ভেঙে ক্ষতিসাধন ঘটেছে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে পরীক্ষাগার, হোস্টেল ও ক্লাসরুমেরও ক্ষতিসাধন হয়েছে।
ইউজিসি যেহেতু এই ধরনের খরচ বহন করে না তাই সেখান থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলি কোনও টাকা পাবে না। অগত্যা রাজ্য সরকারই একমাত্র এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় গুলিকে অর্থ দিয়ে ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে পারে।
তবে এই হিসাব সাময়িক মাত্র। বিস্তারিত হিসাব এখনও তৈরি হয়নি। সেই হিসাবেই রাজ্য সরকারের অনুমান এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১৫ কোটি টাকার আশেপাশেই হবে। তবে তা বাড়লেও বাড়তে পারে। সবকটি বিশ্ববিদ্যালয় তাঁদের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব দিলে এটা পরিষ্কার হবে। সে ক্ষেত্রে ক্ষতির পরিমাণ ২০ কোটি অবধি পৌঁছালেও পৌঁছাতে পারে। প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়কে তাই যত দ্রুত সম্ভব প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির একটি রিপোর্ট রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরকে জমা দিতে বলা হয়েছে।