পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরে আসায় আসামে একলাফে বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তার ওপরে হড়পা বানে ভেসে গিয়েছে রাজ্যের পাঁচ জেলা। করোনা আর প্রাকৃতিক বিপর্যয়, দু’য়ের মোকাবিলা করতে গিয়ে নাজেহাল হয়ে পড়েছে রাজ্য সরকার।
বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গোয়ালপাড়া জেলা। ৮৯ টি গ্রামের প্রায় ২৩ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সেখানে ৩৩ টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন ৮ হাজার মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সোমবার বলেন, করোনা সংকটের মধ্যেই রাজ্যে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আসামের যে বাসিন্দারা দেশের নানা প্রান্তে আটকে আছেন, তাঁরা ১০ জুনের মধ্যে ফিরে এলে ভাল হয়। তাহলে রাজ্য সরকার বন্যা মোকাবিলায় পূর্ণ মনোযোগ দিতে পারবে।
তাঁর কথায়, “আগামী সাতদিনে আরও অনেক পরিযায়ী শ্রমিক রাজ্যে এসে পৌঁছাবেন। স্বাস্থ্য দফতর তাঁদের পরীক্ষা করছে। অনেককে কোয়ারেন্টাইনে পাঠাচ্ছে। আমরা চাই, পরিযায়ী শ্রমিকরা সকলে দ্রুত ফিরে আসুন। তাহলে পরীক্ষা করা আর কোয়ারান্টাইনে পাঠানোর কাজ শেষ হবে তাড়াতাড়ি। আমরা যাই, যে যেখানে আছেন, সকলে ফিরে আসুন ১০ জুনের মধ্যে। তারপর কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে ১৪ দিন। ৩০ জুনের মধ্যে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা শেষ হবে।”
সোমবার রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৬ জন। এই নিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৫০০। তাঁদের মধ্যে ৬২ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। মারা গিয়েছেন চারজন। এর মধ্যে সাইক্লোন উম্পুনের প্রভাবে মঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত চলছে রাজ্যের নানা অংশে। লখিমপুর, ধেমাজি, ডিব্রুগড়, দরং ও গোয়ালপাড়া জেলার ৩০ হাজার মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। মোট ১২৭ টি গ্রামে বন্যার জল ঢুকেছে। ৫৭৯ হেক্টর কৃষিজমি চলে গিয়েছে জলের তলায়।