দেশের মন্দির, মসজিদ, গীর্জার মতো ধর্মীয় স্থান এবং দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলিতে এবার বিচারবিভাগীয় অডিট শুরু করার নির্দেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত। ওই সব ধর্মীয় স্থান ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির মোট পরিমাণ কত, সেগুলির নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ হয় কি না, হলে কী ভাবে তার খরচ মেটানো হয়, নিয়মিত ভাবে তা অডিট করানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।পাশাপাশি কোনও ধর্মীয়স্থানের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা জেলাশাসককে পর্যালোচনা করে দেখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেই সংক্রান্ত সমস্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে হাইকোর্টে। এই রিপোর্ট জনস্বার্থ মামলা হিসাবে বিবাচনা করা হবে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এস আব্দুল নাজির ও বিচারপতি আদর্শ কে গোয়েলের বেঞ্চ একটি রায়ে জানিয়েছেন, ‘ধর্মীয়স্থানগুলিতে পূন্যার্থীরা যে অসুবিধার মুখে পড়েন, প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে খামতি ও দেনার হিসাব নিকেশে স্বচ্ছতা বজায় রাখার বিষয়টি এখন থেকে আর শুধুমাত্র কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের উদ্বেগের বিষয় নয়, আদালতেরও বিচার্য বিষয়।‘দেশে সবমিলিয়ে প্রায় ২০ লাখ মন্দির রয়েছে। তারমধ্যে তামিলনাড়ুতেই রয়েছে ৭ হাজার প্রাচীন মন্দির। মসজিদ আরও ৩ কোটি। এছাড়াও রয়েছে গির্জা। ওই সমস্ত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলির বিরুদ্ধে থাকা ৩ কোটি মামলা এখনও ঝুলে আছে আদালতে বিপুল সংখ্যক বিচারপতি না থাকার কারণে। ফলে সেইসব মামলার পাশাপাশি ধর্মীয়প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি সংক্রান্ত কোনও সমস্যা থাকলে তা দ্রুত সমাধান করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের ওই ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিতে গিয়ে পুরীর জগন্নাথ মন্দির নিয়েও মন্তব্য করেছে। বলেছে, ‘পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে শুধু হিন্দুরাই প্রবেশ করতে পারবেন, এই নিয়ম মেনে নেওয়া যায় না। এটা বদলাতে হবে। সব ধর্মের মানুষকেই প্রবেশাধিকার দিতে হবে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে। কোনও পোশাক বিধি থাকলে তার পরিবর্তনের কথাও ভাবা উচিত মন্দির পরিচালকদের’।