ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়কে মানুষের জয় বলে মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পাশাপাশি একযোগে তোপ দাগলেন তিন বিরোধী সিপিএম, বিজেপি ও কংগ্রেসকে৷ জানালেন, বিরোধীদের করা কুৎসার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷ জয়ী হয়েছেন রাজ্যের সাধারণ মানুষ৷ এই রায় বিরোধীদের মোক্ষম জবাব বলে জানিয়েছেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ তথা এই মামলার আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পাশাপাশি রায়কে স্বাগত জানালেও ২০১৯-এ আরও কড়া লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷
এমন জয় পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের অন্দরে খুশির হাওয়া। দেশের শীর্ষ আদালতের এই রায়ে বিরোধীদের ‘থোতা মুখ ভোঁতা হয়ে গেল’ বলে মন্তব্য করেছেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট, ২ আদালতেই পঞ্চায়েত মামলায় রাজ্য সরকারের হয়ে লড়েন কল্যাণ ব্যানার্জি। সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণার পরই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন তিনি। বলেন, হাইকোর্ট থেকে যেকথা বলে আসছিলেন তিনি, শীর্ষ আদালত তাঁর সেই দাবিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। জয় হয়েছে তাঁর।
রায় বেরনোর পর পঞ্চায়েত মন্ত্রী বলেন, ‘বিরোধীদের অভিযোগকে গ্রাহ্য-ই করেনি আদালত। আইনের কাছে ধোপে টেকেনি বিরোধীদের দাবি। এককথায় ওদের ‘মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছে’ আদালত’। এই মামলা করার জন্য বিরোধীদের জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে দাবি করেন সুব্রত। বলেন, ‘মোদী-অমিত শাহের এখন বাংলার মানুষের কাছে নতজানু হয়ে ক্ষমাপ্রার্থনা করা উচিত। তবে সিপিএম, কংগ্রেস আর বিজেপি যে শিক্ষা পেল, তা ‘বিরাশি সিক্কার চড়’। যে সমস্ত পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদগুলিতে বোর্ড গঠন স্থগিত ছিল, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সব জায়গায় বোর্ড গঠন করা হবে। কাল-পরশু থেকেই পঞ্চায়েত প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে যাবে বলে জানান পঞ্চায়েত মন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে রাজ্যের ২০ হাজার আসনে আর নতুন করে কোনও ভোট হবে না। রাজ্যের ৩৪ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ে সিলমোহর দিয়েছে শীর্ষ আদালত।