দ্বিতীয় দফার লকডাউন আগামী রবিবারেই শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে তার আগেই দেশজুড়ে আরও দু’সপ্তাহ বেড়েছে লকডাউনের মেয়াদ। শুক্রবার বিকেলেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে যে ১৭ মে পর্যন্ত চলবে দেশজোড়া লকডাউন। আর লকডাউন চলাকালীন আরও বেশ কিছু বিষয়ের সঙ্গে দেশজুড়ে স্কুল, কলেজ, কোচিং সেন্টার সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে বলেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এর ঠিক উলটো ছবি ধরা পড়ল খোদ মোদীর গড় গুজরাতে। শনিবার লকডাউনের মধ্যেও সে রাজ্যে খুলল স্কুল। এসেছিল প্রায় ১০০ পড়ুয়াও। রুটিন মাফিক গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
রাজকোটের পরদি এলাকায় একটি স্কুলে এদিন পুড়ুয়াদের মার্কশিট দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। মার্কশিট নিতে ছাত্রছাত্রীদের নির্দিষ্ট সময়ে আসতে বলা হয়। সেই মতো লকডাউন উপেক্ষা করে শনিবার স্কুল খুলেছিল। আর মার্কশিট নিতে স্কুলে উপস্থিত হয়েছিল শ’খানেক পড়ুয়া। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে জানাজানি হওয়ার পরে হইচই পড়ে যায়। আর তারপরই হুঁশ ফেরে প্রশাসনের। এই প্রসঙ্গে রাজকোট জেলা পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান কেডি পাদারিয়া সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘লকডাউনের মধ্যে স্কুল খোলা অপরাধের সামিল। তদন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে। যাঁরা এই ঘটনায় জড়িত প্রমাণিত হবেন তাঁদের বিরুদ্ধ যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ রেহাই পাবে না।’
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে রাজ্যগুলির মধ্যে মহারাষ্ট্রের পরেই গুজরাটের স্থান। সর্বশেষ পাওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে গুজরাটে এখনও পর্যন্ত মোট ৪,৭২১ জনের শরীরে কোভিড সংক্রমণ ধরা হয়েছে। শুধু তাই নয়, গত সাত দিনে অন্যান্য রাজ্যের থেকে সে রাজ্যে নয়া সংক্রমণের হার সবথেকে বেশি। এমন সময়ে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহদের রাজ্য গুজরাতে কীভাবে একটি স্কুল কর্তৃপক্ষ স্কুল খোলা রাখে ও তাদের পড়ুয়াদের আসতে বলে, তা নিয়ে বিস্মিত গোটা দেশই।