দিল্লীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা করোনা আক্রান্ত রোগী প্লাজমা প্রয়োগে সুস্থ হয়ে ওঠার পরে প্লাজমা দিতে এগিয়ে আসেন করোনা সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠা তবলিঘি জামাতের একাধিক সদস্য। তবে মোদী সরকারের মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি তবলিঘিদের প্লাজমা দেওয়ার তীব্র সমালোচনা করার পরেই প্লাজমা পরীক্ষার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিতর্ক বাড়িয়ে দিয়েছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এবার নিজামুদ্দিন মারকাজ ফেরত তবলিঘি জামাতদের সমর্থনে পোস্ট করে বিপাকে পড়তে হল এক আমলাকে। কর্ণাটক সরকার তাঁকে শোকজ করেছে। করোনা পরিস্থিতিতে ওই আমলার করা সেই টুইট সংবাদমাধ্যমে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে বলে দাবি সরকারের। তাঁকে নোটিসের দ্রুত জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে সরকার।
প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসে নির্বাচনী প্রচারের সময় কর্ণাটকের আমলা মহম্মদ মহসিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হেলিকপ্টার তল্লাশির নির্দেশ দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। তারপরই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। এরপর তিনি ২৭ এপ্রিল তবলিঘি জামাতের সদস্যদের সমর্থনে একটি টুইট করেন। যেখানে লেখেন, ‘তিন শতাধিক তবলিঘি জামাত নায়ক প্লাজমা দান করেছেন। কিন্তু সেকথা কি মিডিয়া প্রচার করছে? দেশের জন্য, মানবিকতার খাতিরে তাঁদের এই কাজের প্রচার করা হবে না।’ কর্ণাটকের বিজেপি সরকারের দাবি, ‘করোনা পরিস্থিতিতে এই মন্তব্য সংবাদমাধ্যমে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে।’ ৩০ এপ্রিল ওই আমলাকে শোকজও করেছে তারা। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তার জবাব না দিলে সার্ভিস বুকে প্রভাব পড়বে। এর জবাবে মহম্মদ মহসিন বলেন, ‘করোনা রুখতে সরকারি প্রচেষ্টা, হেলপলাইন নম্বর ও মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলের বিভিন্ন প্রচেষ্টা প্রায় ৪০-৫০ বার শেয়ার করেছি।’