করোনা মোকাবিলায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে গোটা দেশ জুড়ে লকডাউনের ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যেই যার মেয়াদ আরও বাড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে এর জেরে গত এক মাসের বেশি সময় ধরে দৈনিক ৩,২০০ কোটি টাকা ক্ষতির মুখ দেখছে দেশের পরিবহণ শিল্প। এই পরিস্থিতিতে চিন্তায় মশগুল গণ পরিবহণ ব্যবস্থার সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা। সকলেরই এক চিন্তা, বেবিফুড কেনার পয়সা নেই। পয়সা নেই দু’বেলা দু’মুঠো অন্ন জোগাড়ের। আগামী দিনে খাবার মুখে উঠবে তো? তাই সাহায্য চেয়ে ফের রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হলেন বাস মালিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। এই চিঠির মাধ্যমে, সরাসরি আর্থিক প্যাকেজ চাওয়া হয়েছে। এর আগেও রাজ্যকে চিঠি দিয়েছিলেন বাস মালিকরা। বাস মালিকদের দু’টি সংগঠনই একই দাবিতে আর্থিক প্যাকেজ চেয়ে এই চিঠি দিয়েছে। দুই চিঠিরই বক্তব্য এক।
প্রসঙ্গত, গত দু’সপ্তাহ ধরে বাস মালিকদের সংগঠনের তরফ থেকে তাদের অসুবিধার কথা জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে পরিবহণ মন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে। এবার সংগঠনের মূল বক্তব্য, টানা লকডাউনের জন্য বাস না চলার কারণে তাদের প্রত্যেককে পরিবার নিয়ে ভীষণ সঙ্কটের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে। এই অবস্থা বাসকর্মী থেকে শুরু করে মালিক সকলের। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আর্থিক প্যাকেজ জরুরি। তাই এবার বিভিন্ন সংগঠন একসাথে চিঠি দিয়ে প্যাকেজের দাবি জানাল। জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এমনিতেই এখন কী কঠিন অবস্থার মধ্যে দিয়ে আমাদের দিন কাটাতে হচ্ছে, তা একমাত্র বাসকর্মী এবং মালিক আমরাই টের পাচ্ছি। আমাদের সত্যি খাবার জোগাড়ের পয়সা নেই। তাই আমাদের টাকার দরকার পড়বে। এই পরিস্থিতিতে গণ পরিবহণ সংগঠনগুলির আর্থিক সহায়তা খুব দরকার।’ এই দাবি জানিয়েই রাজ্যকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ইন্টার অ্যান্ড ইন্ট্রা রিজিয়ন বাস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক পল্লব মজুমদার জানিয়েছেন, ‘এই কঠিন পরিস্থিতিতে আর্থিক প্যাকেজ ছাড়া এই সঙ্কট থেকে মুক্তির কোনও উপায় খোলা নেই।’