‘জননেত্রীর সঙ্গে থাকুন, শান্তি রক্ষা করুন, উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যান। জঙ্গলমহল হাসছে, আগামীদিনেও হাসবে। আদিবাসীরা নিজের পায়ে দাঁড়াবে। বিশ্ব আদিবাসী দিবসে এটাই হোক আমাদের সকলের প্রত্যাশা।’ ঝাড়গ্রামে আদিবাসীদের উদ্দেশ্যে বার্তা পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর।
তৃণমূল আমলে উন্নয়নের খতিয়ান দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের নেত্রী জঙ্গলমহলকে সেবা, উন্নয়ন, মানবিকতা ও আধ্যাত্মিকতার মধ্যে দিয়ে মানুষের অন্তরের অন্তরস্থলে স্থান করে নিয়েছেন। এজন্য জননেত্রীকে অন্তর থেকে প্রণাম জানাচ্ছি।’
তৃণমূল নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে মহাকরণ থেকে বেরিয়ে প্রথম নয়াগ্রামে, তারপর ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে এসেছিলেন। তিনি ওইসময় যা যা বলেছিলেন, আপনারা মিলিয়ে দেখুন। নেত্রী বলেছিলেন, ‘জঙ্গলমহলের যুবক-যুবতীরা দেশ ও শান্তিরক্ষার জন্য সরকারিভাবে কাজ করুক। আপনাদের জন্য কনস্টেবল, জুনিয়র কনস্টেবল, লেডি কনস্টেবেল ও এনভিএফ দু’হাত ভরে দিয়েছেন। উনি যা দিয়েছেন, সেটা কেউ দিতে পারেননি।’
আদিবাসীদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী কী কী করছেন তা তুলে ধরে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘ ১৯২৫ সালে পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু অলচিকি লিপি আবিষ্কার করে সাঁওতালি ভাষা শেখার ব্যবস্থা করেছিলেন। ২০০৩ সালে সংসদে অষ্টম তফসিলে সাঁওতালি ভাষা স্বীকৃতি লাভ করে। কোনও রাজনৈতিক দল বা রাজ্য সরকার আপনাদের ভাষার বাস্তব স্বীকৃতি দেয়নি। আজকে প্রাইমারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত অলচিকি লিপিতে সাঁওতালি ভাষায় পঠন-পাঠনের সুযোগ করে দিয়েছেন আমাদের জননেত্রী। পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মুর নামে আবাসিক হস্টেল, একলব্য স্কুলকে রামকৃষ্ণ মিশনকে দিয়ে আপনাদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে রক্ষা করে উচ্চ জায়গায় পৌঁছে দিয়েছেন জননেত্রী। জাহের থানের নির্মাণ, সৌন্দর্যায়ন ভারতবর্ষের কোনও রাজ্য করেনি। আমাদের নেত্রী করেছেন।’
শুভেন্দু অধিকারীর বক্তৃতায় উঠে আসে বাম আমলের সঙ্গে বিগত সাত বছরের উন্নয়নের তুলনা।