দলের ‘বিদ্রোহী’ নেতাদের চাপে রাখতে সিপিএমের দাওয়াই ‘তদন্ত কমিটি’ গঠন। সেই কমিটি নিয়েই পশ্চিম বর্ধমানে সিপিএমের অন্দরে আলোড়ন।
৩১ জুলাই রানিগঞ্জে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রর উপস্থিতিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। দলীয় সূত্রে খবর, ওই কমিটি তিনটি দলে ভাগ হয়ে তদন্ত করবে। একটি দল বেনাচিতি এলাকার কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত করবে। তাঁদের বিরুদ্ধে দলের শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে। দলীয় তদন্তকারীদের অন্য একটি দল দুর্গাপুর ইস্পাত অঞ্চলের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত করবে। তাঁদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ জমা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সিপিএম সূত্রে খবর, দলের বেশকিছু গোপন খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। যা দলের ভাবমূর্তী নষ্ট করছে। ফলে কারা সংবাদমাধ্যমের সূত্র হয়ে কাজ করছেন, তাঁদের খুঁজে বের করবেন তৃতীয় তদন্তকারী দলটি। কমিটিতে রয়েছেন রুনু দত্ত, বিবেক চৌধুরী, জাহানারা খান, অলোক চট্টোপাধ্যায় এবং বীরেশ্বর মণ্ডল সহ আরও কয়েকজন।
৩১ জুলাই সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক রানিগঞ্জে দলের এরিয়া কমিটির চারশোজন সদস্যের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁদের সামনে জেলা সম্পাদক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায় ওই কমিটি গঠনের কথা ঘোষণা করেন। রানিগঞ্জের এক নেতার কথানুযাই তদন্ত পক্রিয়া শুরু হয়ে্ছে। তবে তা শেষ হতে সময় লাগবে। সিপিএম নেতা রুনু দত্ত বলেন, ‘আমাদের বিভিন্ন ধরনের কমিটি হয়। সেরকম কিছু কমিটি হয়েছে।’ তবে, তদন্ত কমিটি হয়েছে কি না তা নিয়ে নির্দিষ্টভাবে কিছু বলতে চাননি তিনি।
সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা সম্পাদকমণ্ডলীতে ঠাঁই না পাওয়ায় কয়েকদিন আগে দুর্গাপুরের কয়েকজন নেতা দলের রাজ্য সম্পাদকের সামনে কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। সেই খবর প্রকাশ হওয়ার পরেই অস্বস্তিতে পড়তে হয় দলীয় নেতৃত্বকে। খবর প্রকাশিত হয় সংবাদমাধ্যমেও। তাই বিদ্রোহীদের সবক দিতে ও সংবাদমাধ্যমের সূত্রধরদের হুঁশিযার করতেই এই কমিটি গঠন।
দলের মধ্যে অনেকেই এই তদন্ত কমিটি গঠন প্রক্রিয়াকে জেলার দুর্গাপুর বনাম আসানসোল লবির লড়াই বলেও ব্যাখ্যা করছেন।