প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার যে বাড়িতে কুড়ি বছর কাটিয়ে গেছেন, ২০১৮ সালে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে সেখানেই ওঠেন বিজেপির বিপ্লবকুমার দেব। সে সময়ই বাড়িতে আধুনিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করতে প্রায় ১০ কোটি টাকা খরচ করা হয় সরকারি কোষাগার থেকে। যা নিয়ে প্রবল বিতর্ক তৈরি হয়। আর এবার বিপ্লব দেবের সেই বাসভবনে চলছে সরকারি টাকায় মন্দির নির্মাণের তোড়জোড়। কারণ
আধ কিলোমিটারের মধ্যে হাফ ডজন মন্দির থাকলেও নিজের বাড়িতেই একটি ঝা চকচকে মন্দির চান ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই পূর্ত (রোডস অ্যান্ড বিল্ডিং) দফতরের তিন নম্বর ডিভিশনের কার্যনির্বাহী প্রকৌশলী প্রিয়ব্রত পাল ১৪ ফেব্রুয়ারি ১ কোটি ২১ লাখ ৭২ হাজার টাকার দরপত্র আহ্বান করেছেন। যার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইদানীং ত্রিপুরা সরকারের আর্থিক সঙ্কটের কারণে ব্যয় সঙ্কোচের নির্দেশ রয়েছে সব দফতরে। সরকার নানান ফি বাড়িয়ে, ট্যাক্স এবং সেস বসিয়ে টাকা তুলতে উঠেপড়ে লেগেছে। এমনকী সরকারি হাসপাতালে গরিবদের বিনে পয়সার চিকিৎসাও তুলে দেওয়া হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে সব পরিষেবার দাম। এই পরিস্থিতিতে সরকারের এ হেন সিদ্ধান্তে তৈরি হয়েছে তীব্র অসন্তোষ। ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দরপত্র জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ঠিকাদারদের। যার ফলে বিভিন্ন মহলে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে, সরকারি কোষাগারে জমা হওয়া জনসাধারণের ট্যাক্সের টাকায় আদৌ এটা করা যায় কি না! মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ধর্ম যা-ই হোক, ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের নামে শপথ নেওয়া কোনও সরকার একটি নির্দিষ্ট ধর্মের প্রতি এভাবে পক্ষপাতদুষ্ট হতে পারে কি না।