টেবলের অঙ্কে বাকি সাতটি ম্যাচের চারটিতে জিতলেই সরাসরি চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে মোহনবাগান। খেতাবের দৌড়ে থাকা তিনটি দল পঞ্জাব এফসি, চার্চিল ব্রাদার্স এবং রিয়াল কাশ্মীর নিজেদের মধ্যে খেলবে। তারা পয়েন্ট নষ্ট করলেই আরও আগে খেতাবের মুকুট মাথায় পরে ফেলতে পারবেন জোসেবা বেইতিয়ারা। ২৯ ফেব্রুয়ারি যুবভারতীতে ইস্টবেঙ্গল যদি চার্চিলকে হারায়, তা হলেও সুবিধা হয়ে যাবে মোহনবাগানের। মসৃণ এই পথে দাঁড়িয়েও অবশ্য মোহনবাগানে কোনও উচ্ছ্বাস নেই। বেইতিয়াদের কার্ড সমস্যার কথা মাথায় রেখে সতর্ক কিবু।
দলের তিন স্পেনীয় স্তম্ভ ফ্রান গঞ্জালেস, ফ্রান মোরান্তে, জোসেবা বেইতিয়া এবং গুরজিন্দর কুমার তিনটি করে হলুদ কার্ড দেখে ফেলেছেন। আর একটি কার্ড দেখলেই এক ম্যাচ বসতে হবে। এটা কতটা চিন্তায় রেখেছে আপনাকে? মঙ্গলবার বিকেলে অনুশীলনের পরে প্রশ্ন শুনে একটুও চিন্তিত বলে মনে হল না কিবু ভিকুনাকে। খেতাবের লড়াইতে অনেক এগিয়ে থাকা মোহনবাগানের স্পেনীয় কোচ বলে দিলেন, ‘‘স্পেন, পোলান্ড, যেখানেই কোচিং করাতে গিয়েছি, এই সমস্যা হয়েছে। লিগে এই সমস্যায় পড়তেই হয় কোচেদের। তার সমাধানও করতে হয়।’’
কোচ এবং দলের সেরা স্ট্রাইকারের মতোই সবুজ-মেরুন অনুশীলনেও সতর্কতার মেজাজ। পায়ে বরফ বেঁধে বসে থাকা ড্যানিয়েল সাইরাস ছাড়া বাকিদের উপরে কড়া নজর সবুজ-মেরুন হেড মাস্টারের। ভুল করলেই বাঁশি থামিয়ে বকুনি দিচ্ছেন কিবু। করিম বেঞ্চারিফার জমানায় ১১ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পরেও লিগ আসেনি গোষ্ঠ পাল সরণির তাঁবুতে। কিবুর দল সেই নজির ছুঁয়ে ফেলেছে ইতিমধ্যেই। রবিবার জিতলে সেই রেকর্ড ভেঙে যাবে। তা সত্ত্বেও এ দিন সেট পিস থেকে পাসিং ফুটবল, পজেশনাল ফুটবল থেকে পেনাল্টি– ঘণ্টা দুয়েকের অনুশীলনে কিছুই বাদ গেল না।
কিবু যেমন বলেই দিলেন, ‘‘পরের ট্রাউ ম্যাচ নিয়েই ভাবছি। ছেলেদের বলেছি, একটা পয়েন্ট আমরা নষ্ট করার অর্থই হল অন্যদের সুবিধা করে দেওয়া। সেটা মাথায় রেখেই মাঠে নামতে হবে।’’ তার একটু আগেই শেষ ছয় ম্যাচে সাত গোল করা পাপা বাবাকর দিয়োহারার মুখ থেকে বেরোয়, ‘‘লিগ শেষ হলেই বলতে পারব চ্যাম্পিয়ন হলাম কি না?’’