ওয়েলিংটনে দু’ইনিংসে ১৬৫ এবং ১৯১ রানে আউট হয়ে যায় ভারত। যা দেখে কেন উইলিয়ামসনদের কোচ স্টিড বলেছেন, ‘‘ভারতের স্কোর দেখে আমি একটু অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। তবে এটাও ঠিক, আমাদের বোলাররা অনেকটা সময় ধরে ওদের ওপর চাপ রেখে গিয়েছিল। চেনা পরিবেশে ট্রেন্ট (বোল্ট) এবং টিম (সাউদি) দু’জনেই দারুণ বল করল। মাস দুয়েক মাঠের বাইরে থাকার পরে ট্রেন্ট যে ভাবে বল করল, তাতে বাকিরাও তেতে গিয়েছিল।’’ আগামী টেস্টেও ভারতকে পরাস্ত করতে চার পেসারে খেলার ভাবনা নিউজিল্যান্ডের।
ক্রাইস্টচার্চে ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু শেষ টেস্টে কিন্তু ভারতের সামনে লড়াইটা সহজ হবে না। বাঁ-হাতি পেসার নিল ওয়াগনার দলে ফিরে এসেছেন। আবার প্রথম টেস্টে তাঁর জায়গায় খেলা কাইল জেমিসনও নজর কেড়েছিলেন। কেউ, কেউ মনে করছেন ক্রাইস্টচার্চের পিচ যে-হেতু পেসারদের সাহায্য করে থাকে, তাই ওই মাঠে স্পিনার খেলাবে না নিউজিল্যান্ড। চার বিশেষজ্ঞ পেসারেই মাঠে নামবেন উইলিয়ামসনরা। স্টিড পরিষ্কার করে দিয়েছেন, এগারোয় ওয়াগনার ফিরছেনই। তাঁর কথায়, ‘‘অভিষেক টেস্টে সুযোগটা পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছে জেমিসন। তবে ওয়াগনার দলে ফিরছেই।’’
তার মানে কি চার পেসারে খেলবে নিউজিল্যান্ড? বাদ যাবেন বাঁ-হাতি স্পিনার আজাজ পটেল? কোচের মন্তব্য, ‘‘চার বিশেষজ্ঞ পেসার আর অলরাউন্ডার কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে নিয়ে খেলার ব্যাপারটা আমাদের মাথায় আছে। তবে পিচ দেখেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’ কোচ মানছেন, ক্রাইস্টচার্চের পিচে পেসাররা সাহায্য পেয়ে থাকেন। ‘‘আগেও দেখেছি ওই ধরনের পিচে গ্র্যান্ডহোম খুব কার্যকর হয়েছে। আশা করব, যারাই সুযোগ পাবে, তারা যেন নিজেদের সেরাটা দেয়। কারণ, ভারত দুর্বলতা মুছে আরও শক্তিশালী হয়ে মাঠে নামবে,’’ বলেছেন তিনি।
ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি বলেছেন, তিনি আশা করেন যে তাঁর দলের ব্যাটসম্যানরা দ্বিতীয় টেস্টে আরও আধিপত্য নিয়ে ব্যাট করবেন। স্টিডও মনে করেন, ম্যাচের রাশ হাতে নেওয়ার চেষ্টা করবেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। নিউজ়িল্যান্ড কোচ বলেছেন, ‘‘মনে হয় ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা আধিপত্য দেখানোর চেষ্টা করবে দ্বিতীয় টেস্টে। সে ক্ষেত্রে আমাদের বোলারদের সামনে চ্যালেঞ্জটা কঠিন হবে। কারণ, ভারতের মতো বিশ্বমানের দল সব সময় প্রত্যাঘাত করতে তৈরি থাকে।’’