গত সপ্তাহে সিঁথি থানায় পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হয়েছিল ১ অভিযুক্তের। তারপরই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল পরিস্থিতি। চাপে পড়েছিল কলকাতা পুলিশ। এবার সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েই কলকাতা পুলিশে অভিযুক্তদের থানায় ঢোকা বেরোনোর সময় শারীরিক পরীক্ষা চালু হতে চলেছে। লালবাজার সূত্রে খবর, বুধবারই কলকাতা পুলিশের সব থানার আধিকারিকদের নিয়ে তৈরি পুলিশের অভ্যন্তরীন যে হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপ রয়েছে সেখানে ওই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এখন থেকে কোনও সন্দেহভাজনকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হলে, থানায় ঢোকার সময়ে এবং জেরা শেষে থানা থেকে বেরনোর সময় সরকারি চিকিৎসককে দিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করাতে হবে। যাতে কোনও ধরণের বিতর্ক ভবিষ্যতে এড়ানো সম্ভব হয়।
বর্তমানে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হলে, তাঁর মেডিক্যাল টেস্ট করাতে হয়। আদালতে পেশ করার আগেও ধৃতের শারীরিক পরীক্ষা করাতে হবে। কোনও অভিযুক্ত যদি পুলিশ হেফাজতে থাকেন তাহলেও প্রতিদিন মেডিক্যাল টেস্ট করানোর নির্দেশ রয়েছে শীর্ষ আদালতের।
কিছু কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশে জেরার সময় চিকিৎসকের সহায়তা দেওয়া হলেও, সাধারণ ভাবে কোনও অভিযুক্তকে জেরার জন্য ডাকা হলে তাঁর শারীরিক পরীক্ষার কোনও রীতি ছিল না। তবে সিঁথির মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতেই এবার এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে ইঙ্গিত দেন এক কলকাতা পুলিশের এক কর্তা।
তবে শীর্ষ আধিকারিকদের এই নির্দেশিকা ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে নীচু তলার পুলিশ কর্মীদের মধ্যে। এক আধিকারিক বলেন, এমনিতেই থানায় ধৃত অভিযুক্তদের মেডিক্যাল টেষ্ট করাতে লম্বা লাইন হয় সরকারি হাসপাতাল গুলোয়। এক আধিকারিক বলেন, ‘সব ক্ষেত্রে যদি জেরার আগে পরে মেডিক্যাল টেস্ট করাতে হয় তাহলে তো থানাতে এক জন সর্বক্ষণের চিকিৎসক প্রয়োজন।’ নীচু তলার আধিকারিকদের মন্তব্য, ‘এমনিতেই সরকারি চিকিৎসক পাওয়া মুশকিল। এর পর এত চাপ বাড়লে জেরা করতে কাউকে থানায় আনাই দুষ্কর হবে।’