বয়সে এখনও কিশোর হলেও, খেলার মাঠে তাঁর মুন্সিয়ানা বড় বড় খেলোয়ারকেও হার মানায়। কথা হচ্ছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের নতুন তারকা ব্রট হাল্যান্ডকে নিয়ে। তাঁর জোড়া গোলেই ডর্টমুন্ড নিজেদের মাঠ ইদুনা পার্কে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ধরাশায়ী করল কিলিয়ান এমবাপেদের প্যারিস সেন্ট জার্মেইনকে। নেইমার দা সিলভা স্যান্টোস জুনিয়র নিজে গোল করলেও দলকে জেতাতে ব্যর্থ। ম্যাচের পরে ক্ষোভ উগরে দিয়ে মন্তব্য করলেন, ‘টানা চার ম্যাচ মাঠের বাইরে থাকার পরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মত টুর্নামেন্টে খেলা কঠিন। আমি স্বেচ্ছায় বিশ্রামে ছিলাম না। এটা ক্লাব ও চিকিৎসকদের সিদ্ধান্ত যা আমার পছন্দ হয়নি। বিষয়টি নিয়ে ক্লাবে আলোচনা হয়েছে। খেলতেই চেয়েছিলাম। সুস্থও ছিলাম। কিন্তু ক্লাব ভয় পেল। তার ফল আমায় ভুগতে হল।’
ম্যাচে নেইমারদের ছাপিয়ে নায়ক হাল্যান্ড। যাঁর বাবা ম্যাঞ্চেস্টার সিটিতে খেলেছেন। অস্ট্রিয়ার রেড বুল ক্লাব থেকে এই মরসুমেই প্রায় ১৫৫ কোটি টাকায় তাঁকে কিনেছে ডর্টমুন্ড। প্রতিভা চিনতে ভুল করেননি জার্মান ক্লাবের কর্তারা। প্রায় সাড়ে ছ’ফুট উচ্চতার হাল্যান্ড নতুন ক্লাবে সাত ম্যাচে গোল করেছেন ১১। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে রেড বুলের হয়ে সাত ম্যাচে ১০ গোল করেছিলেন। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের ম্যানেজার ওয়ে গুন্নার সোলসার চেয়েছিলেন, স্বদেশীয় প্রতিভাকে নিজের ক্লাবে নিতে। কিন্তু সোলসারকে কথা দিয়েও শেষ মুহূর্তে হাল্যান্ড বরুসিয়ায় খেলার সিদ্ধান্ত নেন।
জোড়া গোল করে নায়ক ম্যাচের পরে বলেছেন, ‘এই ধরনের সুন্দর মুহূর্ত পাওয়ার অপেক্ষাতেই ফুটবলটা খেলি। আজকের ম্যাচ দারুণ উপভোগ করলাম। কোয়ার্টার ফাইনালের স্বপ্ন দেখছি। কিন্তু তার জন্য প্যারিসে আরও ভাল খেলতে হবে। লড়াইটা কঠিন। কিন্তু আমরাও যথেষ্ট ভাল দল। আপাতত এই ছন্দ ধরে রাখাই বড় দায়িত্ব।’ হাল্যান্ডের পাশে ঢাকা পড়ে গেলেও নেমারের গোলে আশা জিইয়ে রাখল পিএসজি। শেষ তিন বার প্যারিসের ক্লাব চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় বিদায় নিয়েছে। এ বার কী হয়, সেটাই দেখার।