কয়েকদিন আগে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যপালের বৈঠকের পর সরকারের সঙ্গে রাজভবনের সংঘাত বন্ধ হওয়ার প্রাথমিক ধাপ সফল হয়েছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করেছিল। আর সেই ধারণা যে ভুল নয়, তা প্রমাণ পাওয়া গেল রাজ্যপালের কথায়। শ্রীরামপুরে এক অনুষ্ঠানে এসে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বরফ গলেছে। বিবাদ মেটাতে আলোচনাই একমাত্র রাস্তা।’
বাংলার রাজ্যপাল হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই জগদীপ ধনকর সরকারের সঙ্গে নানা বিষয়ে বিবাদে জড়িয়েছেন। কখনও হেলিকপ্টার ইস্যু কখনও কার্নিভ্যাল। আবার কখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন নিয়ে রাজনৈতিক তরজা। নানা ক্ষেত্রে একাধিকবার রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছেন রাজ্যপাল। বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে শাসক-সহ অন্য রাজনৈতিক দলের ঘেরাও বিক্ষোভে পড়ে বাধ্য হয়েছেন বিদ্যালয় চত্বর ছাড়তে। যা একপ্রকার নজিরবিহীন। সব মিলিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সরকারের সংঘাত গত এক বছর ধরে ছিল সবথেকে বড় চর্চার বিষয়। কিন্তু দু’দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করার পর রাজনৈতিক সংঘাতে কিছুটা প্রলেপ পড়ল বলে মনে করা হচ্ছে।
শনিবার শ্রীরামপুরে ১২৪তম বর্ষপূর্তি শিবশঙ্কর জীউ-এর পারিবারিক মেলার উদ্বোধনে এসে রাজ্যপাল বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী এসেছিলেন, শিক্ষামন্ত্রী দু’বার এসেছেন, মুখ্যমন্ত্রীও এসেছিলেন দু’দিন আগে। এক ঘণ্টা কথা হল। যত বড়ই সমস্যা হোক, যতই বিবাদই হোক তার সমাধান একটাই আলোচনা করা, কথা বলা। আলোচনা ছাড়া কোনও সমাধান হয় না। ঘর আর দেশে কোনও তফাত নেই। ঘরে কোনও গণ্ডগোল হলে সবাই বোঝায়। এই বিবাদ বেশি না বাড়াই ভাল।’ সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘আমি খুশি যে আমারও প্রচেষ্টা ছিল, অন্যদেরও প্রচেষ্টা ছিল। এক হাতে তালি বাজে না। দুই হাতে বাজে। আমিও তালি বাজাবার চেষ্টা করেছি, সরকারি তরফেও তালি বেজেছে। একটা ভাল ইতিবাচক ফল হয়েছে। লাভ কাদের হল? বাংলার বাসিন্দাদের। এতে বাংলার ভবিষ্যৎ আর ভাল হবে।’