এনআরসির প্রথম ধাপ এনপিআর। এই অভিযোগে বাংলা-কেরালা-সহ বেশ কয়েক রাজ্যই এনপিআরের কাজ বন্ধ রেখেছে। শুধু এনপিআর ঘিরে প্রবল বিতর্ক চলছে গোটা দেশ জুড়েই। এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিভিন্ন প্রকল্পে বাজেটে অর্থ বরাদ্দের ফিরিস্তি জানাতে এসে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বিরোধী সাংসদদের কাছে এনপিআর নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়লেন স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা। প্রশ্ন উঠল, কী কারণে, কোন যুক্তিতে জোড়া হয়েছে বাড়তি আটটি প্রশ্ন। যদিও বিরোধী সাংসদদের প্রশ্নের কোনও স্পষ্ট জবাব দিতে পারেননি স্বরাষ্ট্রসচিব। ধোঁয়াশা কাটাতে ব্যর্থ হন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের শীর্ষ কর্তাও।
প্রসঙ্গত, বাজেট পেশ হওয়ার পরে মঙ্গলবার ছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক। ওই বৈঠকে মূলত মন্ত্রকের কোন প্রকল্পে কত অর্থ বরাদ্দ হয়েছে, সে বিষয়ে জানাতে উপস্থিত হয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রসচিব। সূত্রের মতে, বৈঠকে এনপিআর খাতে অর্থ বরাদ্দের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র কর্তারা মুখ খুলতেই চেপে ধরেন বিরোধী দলের সাংসদ দয়ানিধি মারান, প্রদীপ ভট্টাচার্য, অধীর চৌধুরীরা। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, দশ বছর আগের এনপিআর-এর নিয়মে এবার পরিবর্তন করা হয়েছে কেন? কেন যোগ করা হয়েছে এমন নতুন ৮ প্রশ্ন, যার মধ্যে রয়েছে, উত্তরদাতার মাতৃভাষা কি, উত্তরদাতার বাবা মা কোথায় জন্মেছেন, কত সালে জন্মেছেন-এর মত একাধিক বিতর্কিত প্রশ্ন?
এ নিয়ে কেবল বিরোধীরাই নন, আপত্তি তুলেছেন শরিক দলের রামবিলাস পাসোয়ানের মতো নেতাও। সূত্রের মতে, নতুন এনপিআরে ওই বিতর্কিত প্রশ্নগুলি যোগ করার কী প্রয়োজন ছিল, তা নিয়ে বিরোধী সাংসদেরা স্বরাষ্ট্রসচিবের ব্যাখ্যা দাবি করলে সরাসরি কোনও জবাব দিতে পারেননি তিনি। শুধু বলা হয়, ওই প্রশ্নগুলির উত্তর দেওয়া আবশ্যিক নয়। কোনও নাগরিক এ নিয়ে উত্তর দিতে না চাইলে তাঁকে জোর করা হবে না। সূত্রের বক্তব্য, সরকারি নথিতে কারও উত্তর এড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি নথিভুক্ত হয়ে থাকবে। যা পরবর্তীকালে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ থাকবে কেন্দ্রের।