সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে প্রায় প্রায় দুই মাস ধরে সিএএ-বিরোধী অবস্থান চলছে দিল্লীর শাহিনবাগে। দিল্লীর বিধানসভা ভোটের আগে যা নিয়ে বেজায় চাপে পড়তে হয় বিজেপিকে। নির্বাচনী প্রচারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, অনুরাগ ঠাকুর – সকলেই আক্রমণ শানিয়েছিলেন এই শাহিনবাগের আন্দোলনকারীদের দিকে। কিন্তু দিল্লী নির্বাচনে তার প্রভাব পড়েনি। আর এরপরেই গান্ধীগিরির রাস্তায় আন্দোলনকারীরা। ১৪ ফেব্রুয়ারি, ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র প্রাক্কালে আন্দোলনস্থলে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানালেন তারা।
শাহিনবাগের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে লেখা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমরা শাহিনবাগে আসার জন্য আন্তরিকভাবে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আসুন আমরা ভালবাসার এই দিনটি একসঙ্গে উদযাপন করি।’ একইসঙ্গে মোদীর উদ্দেশ্যে লেখা হয় হ্যাশট্যাগ তুম কাব আওগে। এই প্রসঙ্গে শাহিনবাগ আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা সায়েদ তাসির আহমেদ জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা অন্য যে কেউ আমাদের সঙ্গে কথা বলতে এখানে আসতে পারেন। ওনারা যদি আমাদের বোঝাতে সক্ষম হন যে যা হাচ্ছে তা সংবিধানবিরোধী নয়, তাহলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে এখান থেকে উঠে যাব।’
উল্লেখ্য, শুরু থেকেই পরোক্ষে এই আন্দোলনের বিরোধিতা করে এসেছেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর সাফ অভিযোগ, কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টির যোগসাজশের কারণেই শাহিনবাগের আন্দোলন অক্সিজেন পাচ্ছে। সব জায়গায় সিএএ বিরোধী আন্দোলন হচ্ছে, এটা কোনও ভাবেই কাকতালীয় নয়। এবার তারই জবাব দিল শাহিনবাগ। সায়েদ তাসির আহমেদ আরও বলেন, ‘আমরা কেউ জানি না সিএএ’র ফলে বেকারত্ব, দারিদ্র্য, বেহাল অর্থনীতির সমস্যা কী ভাবে দূর হবে।’