বাংলার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শিক্ষাব্যবস্থার মানোন্নয়নের দিকে বিশেষ ভাবে নজর দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণে এনেছেন একাধিক প্রকল্প। যখনই কোনও দুঃস্থ অথচ মেধাবী পড়ুয়াদের কথা শুনেছেন নিজের উদ্যোগে তাঁদের পাশে থেকেছেন। এবার পুরুলিয়াতেও ৮ মেধাবীকে আর্থিক সাহায্য করলেন মমতা।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে অভাবনীয় সাফল্যের জন্য ৮ জন ছাত্রছাত্রীকে বিশেষভাবে আর্থিক সাহায্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৭ জানুয়ারি সোমবার, প্রতিমা মাহাতো (৯০% ), সোনাই রায় (৮৯.৪%), শিউলি মাহাতো (৮৪.৬%), মৈত্রেয়ী মাহাতো (৮২.৬%), সোনামণি রায় (৮২.৬%), অষ্টমী মাহাতো (৮০.৮%)—এই ৬ জন ছাত্রছাত্রীর হাতে ২৫০০০ টাকা করে চেক তুলে দেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে।
এই ৮ জন ছাত্রছাত্রীর বাড়ির আর্থিক অবস্থা ছিল খুব করুণ। উচ্চশিক্ষা চালানোর মতো ক্ষমতা ছিল না পরিবারের। মুখ্যমন্ত্রী মমতার সহায়তায় সেই বাধা কাটল তাদের। প্রতিমা মাহাতো উচ্চমাধ্যমিকে ৯০ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করেছিল। বাবা নিবারণ মাহাতো কৃষিকাজ করে দিন গুজরান করেন। কীভাবে মেয়েকে পড়াবেন তা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন। মেয়ের স্বপ্ন সেবিকা হওয়ার। কিন্তু সেটা সম্ভব হবে কী করে তা নিয়ে চিন্তা ছিল। ওই স্কুলের ছাত্রী সোনাই রায় ৮৯ শতাংশ নম্বর পেয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে। বাবা নিমাই রায় চাষাবাদ করেন। মেয়ে পাশ করার পর তিনিও চিন্তায় ছিলেন। মেয়ের ইচ্ছা পাশ করে শিক্ষক হওয়ার। কিন্তু তা যে কতটা জটিল তা জানতেন বাবা নিমাই রায়।
গত বছর ২৫ সেপ্টেম্বর মাধ্যমিকের কাজল মাহাতো (৮৯.২৮%) এবং উচ্চমাধ্যমিকের শিখা মাহাতোর (৮৭.৬%) হাতেও একই টাকার অঙ্কের আর্থিক সাহায্যের চেক তুলে দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে তারা জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয় ও কলেজে পাঠরত। সব মিলিয়ে এই ৮ জন এখন মমতার সহায়তায় উচ্চশিক্ষার স্বপ্নে মশগুল।