মঙ্গলবার মেয়ো রোডে তৃণমূল সুপ্রিমো এনআরসি, সিএএ, এনপিআরের বিরোধিতা করে ছবি এঁকে অভিনব প্রতিবাদ করেন। আর তারপরেই গেরুয়া শিবিরের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, শিল্পচর্চা যারা করেন, তাঁরা আসলে বাস্তব জীবনে অসফল। দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের পরেই মধ্যমগ্রাম রবীন্দ্র সাংস্কৃতিক চর্চাকেন্দ্রের উদ্বোধনে এসে পাল্টা দিলেন জোড়াফুল শিবিরের পর্যটন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বিজেপি দেশের গুণী মানুষদেরকে শত্রু বলে মনে করছে এমনটাই বললেন ব্রাত্য।
এদিন তিনি বলেন, ‘জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের হুমকি দিচ্ছে ‘বিজেপি। দেশের বিশিষ্ট মানুষদের শ্ত্রু হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়েছে।’ আরও বলেন, ‘বিজেপি দেশবাসীকে দেশপ্রেমের নামে চোলাই খাওয়াচ্ছে। পেট্রোলের দাম বাড়লে বলতে হবে জয় শ্রীরাম। পেঁয়াজের দাম বাড়লে বলতে হবে জয় শ্রীরাম। তাতে কি দাম কমছে? কমছে না। এনআরসি, সিএএ নিয়ে বিজেপি গোটা দেশে যে অবস্থার সৃষ্টি করেছে তাতে পর্যটন শিল্পেও প্রভাব পড়েছে। মানুষ বেড়াতে যাবে নাকি বাবা-মায়ের জন্ম শংসাপত্র খুঁজবে?’ বেকারত্ব-সহ বিভিন্ন সমস্যায় গোটা দেশেজুড়ে অচলাবস্থা চলছে বলেও দাবি করেন ব্রাত্য।
অভিনেতা নাসিরউদ্দিন শাহর মতো ব্রাত্য বলেন, সমস্ত গুণী মানুষদের শত্রু বলে মনে করে বিজেপি। শিল্প সংস্কৃতি ছাড়াও এর প্রভাব সর্বত্র পড়ছে বলে দাবি করেন ব্রাত্য। এনআরসি, সিএএকে কালা কানুন বলেও দাবি করেন মন্ত্রী।