সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের অভাব। মাথা খুঁড়লেও মিলছে না চিকিৎসক। এর কারণ হিসাবে কেন্দ্রের ভুল নীতিকেই দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
কেন্দ্রের মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার নীতিকে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজ্যে একজন চিকিৎসক তৈরি করতে আমাদের খরচ পড়ে ৩০ লক্ষ টাকা। অনেকে গ্রামে যেতে চাইছেন না। রাজ্যে চিকিৎসকদের অভাব থাকায় আমরা পর্যাপ্ত সংখ্যায় ডাক্তার পাচ্ছি না। আড়াই হাজার ডাক্তার নেওয়া দরকার। কিন্তু দু’ হাজার ডাক্তার পরীক্ষা দিয়েছেন, এক হাজার কাজে যোগ দিয়েছেন। সবাই কাজে যোগ দিতে চাইছেন না বলে সরকারি ডাক্তারদের ঘাটতি রয়েছে। অনেকে বিদেশে চলে যাচ্ছেন। অনেকে প্রাইভেটে প্র্যাকটিস করছেন অথচ গ্রামে যেতে চাইছেন না। ফলে সমস্যা হচ্ছে। যাঁরা প্রাইভেটে আছেন, তাঁরা আমাদের দু’ঘণ্টা করে পরিষেবা দিন। আমাদের রাজ্যে ডাক্তাররা বিশ্বমানের কাজ করছেন। তাঁদের সাহায্য করুন।’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রচুর মানুষ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পান। ভাল ভাল ডাক্তাররা আছেন। আমরা এ রাজ্যে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল করেছি। বিনা পয়সায় আমরা চিকিৎসা পরিষেবা দিচ্ছি। শুধু কাঠ, চুন, সুরকির বাড়ি তৈরি করে দিলে হবে না, সেখানে টেকনিক্যাল কর্মী, ডাক্তার, নার্স এগুলিও রাখতে হবে। তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের আরও ডাক্তার তৈরি করতে হবে।’
মুখ্যমন্ত্রী কথায় উঠে আসে ভিন দেশ ও প্রতিবেশী রাজ্য থেকেও এরাজ্যে মানুষ আসেন চিকিৎসার করানোর জন্য। পূর্বতন বাম সরকারের সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে কোনও রাজনৈতিক যুদ্ধ করার জায়গা নেই। আগে যেটা ছিল সেটা যমালয়ে পরিণত হয়েছিল। এখন প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি ভাল, শিশুমৃত্যুর হার কমেছে।’
এত সবের পরেও সব সময় ভালো পরিষেবা না দিতে পারায় কেন্দ্রকে কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।