বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে অস্তিত্বহীন জিও বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্রের সেরা উৎকর্ষের শিরোপা স্বীকৃতি ঘিরে বিতর্কের শেষ নেই। নানা মহল থেকে কটাক্ষ হজম করতে হচ্ছে মোদী সরকারকে। কিন্তু কীসের ভিত্তিতে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত। যুক্তির জাল বিস্তার করতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা প্রকাশ জাভড়েকরের।
চলতি অধিবেশনে রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের কাছ থেকে জানতে চান, সত্যি কী জিও বিশ্ববিদ্যালয়কে সেরার শিরোপা দিয়েছে কেন্দ্র? দিয়ে থাকলে কিসের ভিত্তিতে কেন দেওয়া হল? এই বিশ্ববিদ্যালয় কোথায় অবস্থিত ও কটি পাঠক্রম চালু আছে? বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও শিক্ষক, শিক্ষিকার সংখ্যাই বা কত?
উত্তরে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক যা জানিয়েছে তা কার্যত অযুক্তির জাল বলা চলে। এক বেসরকারি সংস্থার প্রতিশ্রুতিতে ভরসা রেখেই নাকি প্রস্তাবিত প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে এই স্বীকৃতী। এতো ‘শিব ঠাকুরের আপন দেশে আইন কানুন সর্বনেশে’।
জাভড়েকরের দপ্তরের উত্তর, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের আইন মেনে গ্রিনফিল্ড কোটায় এই শিরোপা দেওয়া হয়েছে জিও-কে। প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস হবে মহারাষ্ট্রের কারজাটে। আগামী তিন বছরের মধ্যে আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তুলবে জিও। সেই সময়কালেই কেন্দ্রকে পাঠক্রম সংক্রান্ত সব তথ্য জানাবে জিও কর্তপক্ষ। কেন্দ্রীয় ছাড়পত্র ছাড়া পড়ুয়া ভর্তি করতে পারবে না জিও বিশ্ববিদ্যালয়।
এতো শিশু ভূমিষ্ট হওয়ার আগেই তার অভিবাবকদের দাবির ভিত্তিতে গর্ভস্থ সন্তানকে শেরার স্বীকৃতি ঘোষণার সামিল। জিও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য শুধু জমি কেনা হয়েছে। অবশিষ্ট সব কাজই বাকি। তার আগেই সেরার শিরোপা! মোদী সরকারের এই বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ঘিরে কী কর্পোরেট দুনিয়ার সঙ্গে কেন্দ্রের দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্কের কথাই প্রকট হয়ে উঠছে?
তবে পরিষ্কার যুক্তিকে না এঁটে উঠতে না পেরেই অসার উত্তরের ডালি সাজিয়েছেন জাভড়েকর।