জাতীয় রাজনীতির বিরোধী জোটের রূপরেখা নির্ধারণে মাসের শেষে দিল্লি যাচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বেশ কয়েকটি সরকারি কর্মসূচী বাদে রাজধানীর অলিন্দে বিরোধী রাজনৈতিক জোট পোক্ত করতে মমতা ব্যস্ত থাকবেন আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনায়। কথা হতে পারে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও।
সেন্ট স্টিফেন কলেজ ও বিশপদের সভায় ভাষণ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। মূলত জাতীয় রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাই এই সভায় ভাষণ দিয়ে থাকেন। এর থেকেই পরিষ্কার বর্তমানে জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূল নেত্রীর প্রাসঙ্গিকতা।
লোকসভার সঙ্গেই জম্মু-কাশ্মীর, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানে বিধানসভা ভোট করতে চাইছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের কৌশল, মোদীর উন্নয়নের তাস খেলে দুই ভোটেই বাজিমাতের। তবে মোদী-শাহের এই ছক বানচাল করতে বিরোধী শিবিরকে এক জোট করাই মমতার এই সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য।
তৃণমূল সূত্রে খবর, মোদীকে সরাতে এই সফরে আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে কথা বলবেন দলনেত্রী। তবে সিপিএম, কংগ্রেসের একাংশ ফেডারাল ফ্রন্ট নিয়ে মমতাকে কাঠগড়ায় তুলতে ব্যস্ত। যা আখেড়ে বিরোধী জোটকেই দুর্বল করছে। বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন তৃণমূলনেত্রী। সেই বিরোধীতার জবাব ব্রিগেড সমাবেশ থেকেই দেওযার অপেক্ষায় তিনি। মনে করা হচ্ছে এই সফরে মমতা ব্রিগেড সমাবেশের জন্য বিভিন্ন বিরোধী দলকে আমন্ত্রণও জানাবেন। সংসদের সেন্ট্রাল হলে কথা বলবেন তাদের সঙ্গে।
মমতার দিল্লি সফর মানেই মোদীর কপালে চিন্তার ভাঁজ। সেই ধারা এবারও বজায় থাকবে বলে মনে করছেন রাজনৈতির পর্যবেক্ষকরা।